ঢাকা থেকে : ঢাকার ধামরাই উপজেলায় স্ত্রীর সঙ্গে কারখানা ম্যানেজারের অনৈতিক সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে। এর জের ধরে ওই ম্যানেজারকে রাজপথে ধরে উত্তমমধ্যম দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। শনিবার বিকালে উপজেলার আমতা ইউনিয়নের জগৎনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কাওয়ারীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. রাসেল মোল্লা বলেন, অভিযোগ পেয়ে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জগৎনগর বিক্রমপুর কাস্টিংয়ের জেনারেল ম্যানেজার বিপ্লব সরকার স্থানীয় প্রণয় দাসের স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক পাকাপোক্ত করতে তাকে ওই কারখানায় শ্রমিকের চাকরি দেন। এ সুযোগে বিপ্লব সরকার ওই শ্রমিকের স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে এ অনৈতিক সম্পর্ক আঁচ করতে পারেন ওই শ্রমিক। একপর্যায়ে গত বুধবার ম্যানেজারের কাছে এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার তাকে চাকরিচ্যুত করেন।
এরই জের ধরে প্রণয় দাস শনিবার বিকাল ৪টার দিকে ম্যানেজার বিপ্লব সরকারকে একা পেয়ে জগৎনগর বাজারে তাকে উত্তম মধ্যম দেন। এ সময় তার প্যান্টের পকেটে থাকা দুই লাখ টাকা খোয়া যায় বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ। আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। শ্রমিক প্রণয় দাস কাওয়ালীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ওই ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
পরে ওই ম্যানেজারও প্রণয় দাসের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেন বলে জানা গেছে। শ্রমিক প্রণয় দাস জানান, আমার স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় ওই ম্যানেজার আমাকে চাকরিচ্যুত করে। পরে আমি তাকে রাস্তায় ধরে কিছু উত্তম মধ্যম দিই। তবে কোনো টাকাপয়সা নিইনি। আমি এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি।
বিপ্লব সরকার বলেন, ঠিকভাবে কাজ না করায় প্রণয় দাসকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এরপর তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে আমার অনৈতিক সম্পর্ক আছে বলে অভিযোগ তোলেন। এরই জের ধরে আমাকে বাজারে আটকে মারধর করা হয়। এ সময় আমার প্যান্টের পকেটে থাকা দুই লাখ টাকা খোয়া যায়। আমি এ ব্যাপারে কাওয়ারীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ করেছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।