এমটি নিউজ২৪ ডেস্ক : রাজধানীর কল্যাণপুরে একটি জ্বালানি তেলের পাম্পে অভিযান চালানো হয়েছে, যেখানে গতকাল (সোমবার) মোটরসাইকেলের অকটেন কিনতে গিয়ে কম পাওয়ার অভিযোগ তোলে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলেন এক ব্যাংক কর্মকর্তা।
ওই পাম্পের নাম সোহরাব ফিলিং স্টেশন। কল্যাণপুরের এই পাম্পে মঙ্গলবার অভিযান চালিয়েছে রাষ্ট্রীয় মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসটিআই। পাম্পটিতে ডিজেল চুরির প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি। এজন্য পাম্পটিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে ওই ব্যাংক কর্মকর্তা অকটেন চুরির যে অভিযোগ তুলেছিলেন, সেটির প্রমাণ পায়নি বিএসটিআই।
এই পাম্পেই সোমবার মোটরসাইকেলের অকটেন কিনতে গিয়ে কম পাওয়ার পর প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলেন মো. ইশতিয়াক নামে ওই ব্যাংক কর্মকর্তা, যা গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তার প্রতিবাদের খবর ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। তার এক দিন পরই ওই এলাকায় অভিযান চালায় বিএসটিআই।
অভিযানকারী দল সোহরাব ফিলিং স্টেশন ছাড়াও খালেক ফিলিং স্টেশন ও রহমান ফিলিং স্টেশনে গিয়ে তেল পরিমাপে কম দেওয়ার প্রমাণ পায়।
অভিযানে থাকা বিএসটিআইয়ের নির্বাহী হাকিম মোহাম্মদ হাসিব সরকার বলেন, ‘সোহরাব ফিলিং স্টেশনে ২টা ডিজেলের নজেলে কম পাওয়া গেছে। এজন্য দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।কিন্তু সোহরাব ফিলিং স্টেশনে অকটেনের নজেলে তেল কম দেওয়ার বিষয়টি অভিযানে ধরা পড়েনি।’
এ বিষয়ে বিএসটিআইয়ের উপ-পরিচালক (সিএম) রিয়াজুল হক বলেন, ‘সোহরাব ফিলিং স্টেশনে আমরা যে অনিয়ম পেয়েছি, সেটা ভিন্ন। ওই যুবক অভিযোগ করেছিলেন, তাকে ৫ লিটার অকটেনের ভাউচার দেওয়া হলেও বাস্তবে মেপে দেওয়া হয়েছে তিন লিটার বা তার চেয়ে একটু বেশি। এটাকে চুরি না বলে প্রতারণা বলা হয়। এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার দেখবে। আর আমরা অনিয়ম পেয়েছি ডিজিলের নজেলে। সেখানে সরাসারি পরিমাণে তেল কম দেওয়া হচ্ছিল।’
বিএসটিআইয়ের নির্বাহী হাকিম বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি অনিয়ম পাওয়া গেছে খালেক ফিলিং স্টেশনে। ১০ লিটার অকটেনে ৩১০ মিলি লিটার কম দেওয়া হচ্ছিল। অর্থাৎ প্রতি লিটারে ৩১ মিলিলিটার কম পাচ্ছিলেন গ্রাহক।ডিজেলের একটা নজেলে ১০ লিটারে ৫০ এমএল কম পেয়েছি। ডিজেলের মেশিন ছিল ৬টা, যার মধ্যে একটাতে কম পাওয়া গেছে। অকটেন ছিল ১০টা ইউনিট; এরমধ্যে দুইটাতে কম পেয়েছি। তিনটি নজেলে কম পাওয়ার কারণে তাদেরকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
তিনি জানান, রহমান ফিলিংয়ে ডিজেলের একটি নজেলে তেল কম পাওয়া গেছে। এরজন্য ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।সবমিলিয়ে সোহরাবসহ ৩টি ফিলিং স্টেশনে থেকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
বিএসটিআই থেকে পুনরায় মিটার ক্যালিবেশন ছাড়া এসব নজেল দিয়ে তেল বিক্রি বন্ধ থাকবে বলেও জানান সংস্থাটির নির্বাহী হাকিম।