শনিবার সকাল সাতটা থেকে সেতুতে অবরোধ চলছে। এতে বন্ধ রয়েছে ঢাকার সঙ্গে মুন্সিগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, খুলনা ও বরিশাল রুটের যান চলাচল। এর ফলে দুই প্রান্ত পোস্তগোলা ও কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। যান চলাচল বন্ধ থাকায় লোকজনকে মালপত্র নিয়ে পায়ে হেঁটে পার হতে দেখা গেছে।
আন্দোলনকারী সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতা কামরুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন পরিবহনের জন্য আগে যে টোল আদায় করা হতো, এখন তা বাড়িয়ে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণের বেশি করা হয়েছে। যেভাবে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে, পরিবহন শ্রমিকদের পক্ষে তা দেওয়া সম্ভব না।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, আগে যেখানে সিএনজিচালিত অটোরিকশার টোল ১০ টাকা নেওয়া হতো, এখন সেখানে ৩৫ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। মোটরসাইকেলে আগে টোল নেওয়া হতো পাঁচ টাকা। এখন সেখানে ১৫ টাকা নেওয়া হচ্ছে। মাইক্রোবাসে আগে টোল ছিল ২০ টাকা। আর এখন ৭৫ টাকা টোল আদায় করা হচ্ছে। ট্রাকে টোল নিত ১২০ টাকা। এখন নিচ্ছে ২৪০ টাকা। সেতু টোলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন ও অবরোধ চলবে।
টোল কর্মকর্তা মহিতুর রহমান জানান, তাঁরা সরকারি নিয়ম অনুসারে টোল আদায় করছেন। এর চেয়ে বেশি টোল নেওয়া হচ্ছে না।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি জামালউদ্দিন মীর জানান, মুন্সিগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা এবং আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
২৫ জুলাই ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস