দিনাজপুর থেকে : রাত পোহালেই ঈদুল আজহা। ইতিমধ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাতের মাঠ দিনাজপুর গোর-এ শহীদ কেন্দ্রীয় ঈদগাহের।
এ ঈদ্গাহকে এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ বলা হচ্ছে। এবার এ ঈদগাহে ৭ লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ পড়বেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশের সবচেয়ে বড় এ ঈদ্গাহে ঈদের নামাজে ইমামতি করবেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব শামসুল ইসলাম কাশেমী।
প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে মাঠ প্রস্তুতির এ ধরণের কাজ শেষ করা হয়েছে ও পাশাপাশি আনুসাঙ্গিক নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এছাড়া তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ। সরেজমিনে দেখা যায়, মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য মাঠের বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যবেক্ষণের টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে।
মাঠের শেষ অংশে ঘেরা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন যানবাহনের গ্যারেজ। দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম বলেন, প্রতি বছর দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। তবে এবার থেকে ৫২ গম্বুজের এই ঈদগাহ মাঠে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করছে দিনাজপুরবাসী ।
এই ঈদগাহ নির্মাণে তিন কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে তথ্য দেন তিনি। দিনাজপুর পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম বলেন, কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে দিনাজপুর গোর-এ শহীদ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ। সাদা পোশাকে ঈদগাহ প্রাঙ্গণে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন করা হবে। এছাড়াও র্যাবসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরা নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সক্রিয় থাকবেন।
জাতীয় সংসদের হুইপ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম বলেন, দিনাজপুর গোর-এ শহীদ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ শুধু বাংলাদেশই নয়, উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ। এ বছর এ মাঠে প্রায় ৭ লাখ মুসল্লি এ মাঠে একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করবেন বলে আশা ব্যক্ত করছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানের পশ্চিম প্রান্তে ২০১৫ সালে এই ঈদগাহের নির্মাণকাজ শুরু হয়। নির্মাণের প্রায় দেড় বছরে এটি নামাজের জন্য পুরো প্রস্তুত করা হয়।
এর মিনারে ৫২টি গম্বুজ রয়েছে, দুই পাশে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, মাঝের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে এবং প্রধান মিনারের উচ্চতা ৫৫ ফুট। প্রত্যেকটি গম্বুজে বৈদ্যুতিক বাতির সংযোগ দেয়া হয়েছে।