ফজিবর রহমান বাবু : দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেছেন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা। শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের শেষ আশ্রয়স্থল। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ানো, তাদের জন্য বীর নিবাস তৈরী করে দেয়া, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়া, সরকারি যানবাহনে বিনা পয়সায় যাতায়াতের সুযোগ করে দেয়া, হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বুধবার বিকেলে বীরগঞ্জ উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নে সেনগ্রাম স্মৃতি সৌধ পরিদর্শনকালে এমপি গোপাল এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এ সুযোগ দেশে আর কেউ করে দেননি। শেখ হাসিনা মনে করেন মুক্তিযোদ্ধাদের দাবী আছে, তাদের অধিকার আছে। বাংলাদেশে একজন মুক্তিযোদ্ধা গৃহহীন থাকবেন না। একজন মুক্তিযোদ্ধা না খেয়ে থাকবেন না, তার পরিবারের সদস্যরা অসহায় থাকবেন না।
তিনি আরো বলেন, ''বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, বাঙালি জাতি থাকবে, প্রগতির চিন্তা-চেতনা থাকবে, অসাম্প্রদায়িকতা থাকবে ততদিন মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধারা চিরভাস্বর হয়ে থাকবেন। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের পতাকা উড্ডীন করার যে গৌরব দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের, এই গৌরবের অংশীদার আর কারো হওয়ার সুযোগ নেই। যেকোন বিপন্ন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের জন্য আমি সহায়তা করবো। বিপদে একজন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারলে আমি গর্বিত হবো। এ সুযোগ আপনারা আমাকে দেবেন। আমি আপনাদের পাশে আছি।''
এসময় উপস্থিত ছিলেন কাহারোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরুল হাসান, কাহারোল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ শফিউল আজম, ডাঃ ডি সি রায়, বীরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল মতিন প্রধান, কাহারোল থানার ওসি ফেরদৌস আলী, কাহারোল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাজীব কুমার বাগচী, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ জেলা শাখার সভাপতি মো. কামাল হোসেন, বীরগঞ্জ উপজেলা যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. ইয়াসিন আলীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।