দিনাজপুর থেকে: চায়না থ্রি জাতের একেকটি লিচু বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ২৬ টাকা। পাশাপাশি প্রতিটি বেদেনা জাতের লিচু বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১৩ টাকা। দিনাজপুরে স্মরণকালের সেরা দামে বিক্রি হচ্ছে লিচু। চায়না থ্রি জাতের লিচুর দাম কেন বেশি জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর দিনাজপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ প্রদীপ কুমার গুহ।
প্রদীপ কুমার বলেন, ‘চায়না থ্রি জাতের লিচু সব লিচু থেকে আলাদা। দেখতে আপেল আকৃতির। অন্যান্য লিচুর ফলন বেশি হলেও এই লিচুর ফলন কম। গায়ে কাঁঠালের মতো আবরণ, তবে মসৃণ। বিচি একেবারেই ছোট এবং স্বাদ ভিন্ন। এই লিচুর আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো শুধুমাত্র দিনাজপুরেই ভালো হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আবহাওয়া ও মাটির গুণাগুণের ওপর নির্ভর করে বেড়ে ওঠে গাছ। অন্যান্য জেলায় এই লিচুর আবাদ আছে। কিন্তু সেখানকার ফলন, স্বাদ ও মিষ্টতা দিনাজপুরের মতো নয়। ফলে চাহিদা আছে দেশজুড়ে। যার কারণে দাম বেশি। অন্যান্য বছর ১৬ থেকে ১৮ টাকা বিক্রি হলেও এবার সর্বোচ্চ ২৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে।’
বাগানি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই দুই জাতের লিচু দেখতে অনেকটা আপেল আকৃতির। গায়ে কাঁঠালের মতো আবরণ, তবে মসৃণ। বিচি একেবারেই ছোট। অন্যান্য লিচুর চেয়ে স্বাদ ভিন্ন। বিশেষ করে চায়না থ্রি জাতের লিচু গাছের সংখ্যা কম।
প্রতিটি বাগানে একটি গাছের দেখা মেলে। মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী না হলে এই গাছ বাঁচে না। খুব কম পাওয়া যায় বলে চায়না থ্রি জাতের লিচুর দাম সবসময় বেশি থাকে। বর্তমানে দিনাজপুরে লিচুর বাজার জমজমাট। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে ব্যস্ত জেলার সবচেয়ে বড় লিচুর বাজার দিনাজপুরের গোড়-এ শহীদ বড় ময়দান।
সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এই বাজারে বেচাকেনা চলে। এখানকার লিচু জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সাতক্ষীরা, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বগুড়া ও সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় যায়। এসব লিচু কেনার জন্য ওসব জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন এই বাজারে আসেন।