নিউজ ডেস্ক : দিনাজপুরে তিন মণ ধানের দামে এক কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। অবিশ্বাস্য মনে হলেও জেলার প্রতিটি বাজারে ইলিশের দাম ও ধানের দামের এই চিত্র পাওয়া যায়। বৈশাখের খর তাপদাহ অগ্নি উত্তাপ যেন ইলিশের মাঝে বিরাজমান। মাঝারি সাইজের এক কেজি ইলিশ ১৫০০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। শত কষ্ট হলেও পহেলা বৈশাখে পান্তা ভাতের সঙ্গে একটি ছোট টুকরা ইলিশের ভাজা খেতে হবে। তাই ইলিশ না কিনে উপায় নেই বাড়ির কর্তার। এদিকে এক কেজি গরুর মাংস কিনতে প্রায় ৪০০ টাকা লাগে। এক মণ ধান বিক্রি করে ৫শ টাকা পাওয়া যায়। এক মণ ধান বিক্রি করে এক কেজি মাংস পাওয়া যাচ্ছে। বর্ষবরণ উপলক্ষে ইলিশের প্রচুর চাহিদা থাকায় হুড় হুড় করে দাম বেড়ে চলেছে। বর্ষবরণে ইলিশের চাহিদা থাকায় কর্তাকে ৩ মণ ধানের দামে বাধ্য হয়েই ইলিশ কিনতে হচ্ছে।
শহরের বাহাদুর বাজারে কয়েকজন ইলিশ ক্রেতা জানান, বৈশাখ এমন একটি সময়, এ সময়ে ইলিশকে বাঙালি জীবনে উৎসবের মতো গ্রহণ করা হয়। আমরা সারা বছর ইলিশ খেলেও এ সময় ইলিশ খাওয়ার মজাই আলাদা। বৈশাখ উৎসব বাঙালি জীবনে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা থেকে শুরু করে কোলের শিশুটিও এর আনন্দ হাত ছাড়া করতে রাজি নয়। বৈশাখে পান্তা ভাতের সঙ্গে ইলিশ ভাজার যেন কোনো জুড়ি নেই। শত কষ্টের মাঝেও বৈশাখের আনন্দ-উল্লাসের ভাগিদার হতে চায় খেটে খাওয়া মানুষটিও। এমন প্রত্যাশায় ইলিশের চাহিদার ওপর সুযোগ নিয়ে চড়া দাম হাতিয়ে নিচ্ছে ইলিশ বিক্রেতারা। বাঙালি ঐতিহ্যকে ঘিরে এই সময় ইলিশ কেনার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। আবার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বেশি দাম থাকায় ইলিশ কিনতে না পেরে চোখেমুখে হতাশার ছাপ দেখা যায় নিম্ন-আয়ের মানুষের। চাহিদানুযায়ী ইলিশের সরবরাহ সঠিকভাবে না থাকায় এক সপ্তাহের মধ্যে চারগুণ দাম বেড়েছে। চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেড়েই চলেছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। দাম আরও বেশি বাড়ার আশঙ্কায় অনেকেই আগে থেকে ইলিশ কিনে রাখছে। বাহাদুর বাজারে বড় সাইজের ইলিশ সরবরাহ না থাকলেও আধা কেজি ওজনের ইলিশ প্রায় ১৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম ২০০০-২২০০ টাকা বলে এক মাছ ব্যবসায়ী জানান। এদিকে প্রতি মণ ধানের দাম ৫শ’ টাকা হওয়ায় সে হিসেবে তিন মণ ধানের দামে এক কেজি ইলিশ কিনতে হচ্ছে। -এম-জমিন
১৩এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/অন্তু/এএম