এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সকাল ৯টা বা তার আগে স্কুল কিংবা অফিসের কাজ শুরু মানে শরীরের ওপর টর্চার করা। এতে শারীরিক এবং মানসিক জটিলতা দেখা দেয়। এ সময়ে কর্মস্থলে যাওয়া বা ছেলেমেযেদের স্কুলে পাঠানোকে এক ধরনের নির্যাতন বলে মন্তব্য করেছেন বিখ্যাত ঘুম বিশেষজ্ঞ ড. পল কিলি।
ড. পল কিলি বলেছেন, সকাল ৯টা বা তার আগে কাজে যোগদানে বাধ্য করা এক ধরনের নির্যাতন, যা মানুষের দেহ ও মন উভয়ের ওপর বিরুপ প্রভাব ফেলে। এদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। কর্মস্থলে ঝিমুনি আসায় কাজে মনোযোগ থাকে না। তাদের স্মৃতি শক্তি লোপ পেতে থাকে। একসময় তাদের বেশির ভাগই ক্লান্তি ও বিষণ্নতায় ভুগেন; যা নেশা আসক্তে উদ্বুদ্ধ করে।
সম্প্রতি কিলি নেতৃত্বাধীন এক জরিপে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ডেইলি মেইলের এক খবরে বলা হয়েছে, যেসব ছেলেমেয়ে সকাল ১০টা বা তার পরে স্কুলে যায় তাদের পরীক্ষার ফলাফল ভালো। তাদের গ্রেড পয়েন্ট প্রায় ১০% পযর্ন্ত বেড়েছে।
কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ছাত্রছাত্রীরা সকালে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানোর সুযোগ পেলে স্কুলের পাঠে মনোযোগ বাড়ে। ১৬ বছরের টিনএজারদের সকাল ১০টায় আর ১৮ বছরের স্কুলগামী ছেলেমেয়েদের সকাল ১১টায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ফেলো ড. কিলি বলেন, সকাল ৯ থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিসগামী মানুষের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না; তাতে তাদের মধ্যে হতাশা, উদ্বিগ্নতা কাজ করে। আচরণগত পরিবর্তনও সবার চোখে ধরা পড়ে। বেশির ভাগই যকৃত ও হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ৫৫ বছরের অধীন লোকদের সকাল ১০টা থেকে অফিস বা ব্যবসা শুরু করা উচিত।
সম্প্রতি ব্রিটেনের এক বিজ্ঞান উৎসবে যোগ দেন ড. কিলি। সেখানে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, কর্মস্থলে যোগদানের সময় সকাল ৯টা থেকে বাড়িয়ে ১০টায় উন্নীত করার সামজিক আন্দোলনে রুপ দিতে হবে। এটা সবাই বুঝলেও এ প্রসঙ্গে কারো ভ্রুক্ষেপ নেই।
ড. কিলি বলেন, ২৪ ঘণ্টার সময়কে আমরা পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা এও পারি না, প্রতিদিন একটা নির্দিস্ট সময় ঘুম থেকে উঠতে। ঘুমের সঙ্গে ভোরের সূর্যের আলোর একট সম্পর্ক আছে। নিয়ম মেনে ঘুম থেকে উঠা কেবল হাসপাতালের রোগী আর জেলখানার কয়েদির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
৯ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম