সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৬, ১০:০০:৫৪

ফর্সা হওয়ার ক্রিম কিনতে গেলে সাবধান!

ফর্সা হওয়ার ক্রিম কিনতে গেলে সাবধান!

এক্সক্লুসিভ: ফর্সা হওয়ার জন্য মানুষ কত কিছুই না মাখে মুখে…বিউটি পার্লারে যাচ্ছে অহরহ… কেউ বা ঘড়ে বানানো ফেস প্যাক আবার কেউ কস্মেটিক্স এর দোকান থেকে ফর্সা হওয়ার ক্রিম এনে মুখে লাগান… আমরা অনেকেই এই কোম্পানি গুলোর উপর আস্থা রেখে এসব ক্রিমের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা আমারা চিন্তাও করিনা।

যে এইসব ক্রিম আমাদের সংবেদনশীল ত্বকের জন্য কতটা ক্ষতিকর হতে পারে… রং ফর্সা কারী ক্রিম গুলোর বেশিরভাগই সাময়িক মুখের চামড়ার উপরের স্তর এর অপসারণের ফলে সাময়িক ফর্সা হলেও দীর্ঘদিনের ব্যবহার এর ফল মারাত্মক হতে পারে। ত্বকবিশেষজ্ঞদের মতে, স্টেরয়েড মেশানো এই ধরনের ক্রিমের যথেচ্ছ প্রয়োগে গালে বা মুখে ত্বকের জটিল অসুখ দেখা দিচ্ছে।

কারও মুখ পোড়া দাগে ভরপুর, কেউ রোদে বেরোলেই অসহ্য জ্বালায় অস্থির। কখনও বা হরমোনের গোলমাল হওয়ায় মেয়েদেরও দাড়িগোঁফ গজাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে সকলকে।

ত্বকরোগ বিশেষজ্ঞ দের মতে এসব ক্রিমের লেভেল  সিগারেটের প্যাকেটের মতো বিধিসম্মত সতর্কীকরণের ব্যাবস্থা করা উচিৎ। কয়েকজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ এর কাছ থেকে জানা যায় রোজ তাদের চেম্বারে যে সব রোগী আসে তার দশ জন রোগীর মধ্যে চার জনই মুখে উল্টোপাল্টা ক্রিম মাখার উপসর্গ নিয়ে হাজির হন। কিছু কিছু ক্রিমের টিউবে ‘স্কিন লাইটেনিং’ কথাটাও লেখা থাকে। অনেকেই ফর্সা হতে এ সব মাখেন।’’

চিকিৎসকদের দাবি, এক বার স্টেরয়েড মেশানো ক্রিম মাখা অভ্যেস করলে ত্বক স্টেরয়েডের নেশা ধরে নেয়। ক্রিম মাখা বন্ধ করলেও জ্বালাযন্ত্রণা বাড়তে থাকে। একজন ত্বকরোগ বিশেষজ্ঞ এর কথায়, ‘‘শুধুমাত্র শ্বেতি, এগজিমার মতো ত্বকের অসুখে স্টেরয়েড মেশানো ক্রিম মুখে বা গায়ে মাখা যেতে পারে। সেটাও ডাক্তারের কথা শুনে অল্প-অল্প করে মাখতে হয়।-
২৪ অক্টোবর,২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/ আ শি/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে