এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সংসার জীবন আছে। সঙ্গে বাড়তি হিসেবে দু-দু'জনের সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন পরকীয়া। এর একজন বয়স্ক, অন্যজন যুবক। তাদের গল্পটা যেন ‘এক ফুল, দো মালি’র। কলকাতার টাকির ওই নারী দুই প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতাল চত্বরে আসতে বলেন।
স্থান এক হলেও দু'জনকে আলাদা আলাদা সময়ে দেখা করতে আসতে বলেছিলেন তিনি। কিন্তু স্রেফ সময়ের হেরফেরে মুখোমুখি দেখা হয়ে গেল তিনজনের।
আর তার পরেই ঝামেলা লেগে গেল দুই প্রেমিকের! প্রথমে ধস্তাধস্তি। তারপর হাতাহাতি। আচমকা ঘুষিতে জ্ঞান হারান বয়স্ক। হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকেরা জানান, তিনি মারা গেছেন।
শনিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট হাসপাতাল চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। বসিরহাটের আরএন রোডের বাসিন্দা প্রদীপ দত্ত (৫৫) নামে ওই প্রৌঢ়কে খুনের অভিযোগে পুলিশ টাকির বাসিন্দা সুজিত বিশ্বাস নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে।
আর ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়। জেরায় তিনি প্রদীপ এবং সুজিতের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, প্রদীপ বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ব্যবসা করতেন। সেই সূত্রেই টাকির ওই মহিলার সঙ্গে পরিচয়। মহিলা বিবাহিত।
তার সঙ্গে আগেই সুজিতের সম্পর্ক ছিল। মহিলা শনিবার এক আত্মীয়কে দেখতে হাসপাতালে যান। সেখানে আগেই পৌঁছেছিলেন প্রদীপ।
একটি দোকানে তিনি চা খাচ্ছিলেন। সেই সময় সুজিতকে ওই মহিলার সঙ্গে কথা বলতে দেখেন। সন্দেহ হওয়ায় সুজিতের দিকে তেড়ে যান।
তারপরেই তাণ্ডব শুরু। প্রদীপ জ্ঞান হারালে সুজিতকে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের হাতে তুলে দেয়া হয়। পরে প্রদীপের ছেলে সুজিতের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। -আনন্দবাজার পত্রিকা।
১২ ডিসেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম