এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ পেলেন এই কেশশিল্পী আর তাতেই রাতারাতি কোটিপতি!
কোটিপতি হওয়ার খবরে আনন্দ আর ধরেনি দিলশাদের। প্রবল পরিশ্রম করেও সংসার চালাতে জীবন বেরিয়ে যাওয়ার জোগাড়। সেখানে কোটিপতি হওয়ার খবরে মন-প্রাণ খুশিতে ভরে উঠেছিল।
শনিবারের সন্ধেটা যেন কিছুতেই ভুলতে পারছেন না দিলশাদ। কারণ, এখন তিনি গরিব হয়েও কোটিপতি। উত্তর প্রদেশে তাঁর চুল-দাড়ি কাটার একটি দোকান আছে। আর এই দোকানেই তাঁকে দিনভর ব্যস্ত থাকতে হয় দু’মুঠো অন্ন সংস্থানের জন্য।
দিন আনা দিন খাওয়া সংসারে দিলশাদের আয়েই সকলের পেট ভরে। কিন্তু, নোটবাতিলের পরে তাঁর জীবন আরও সঙ্কটে। গ্রাহকের অভাবে ব্যবসা লাটে ওঠার পরিস্থিতি। এই অবস্থায় চিন্তার শেষ ছিল না দিলশাদের। কিন্তু, শনিবার সন্ধ্যায় যেন আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপই পেলেন তিনি। মোবাইলে আসা এসএমএস-টার অ্যালার্ট সাউন্ডে চমকেই উঠেছিলেন চিন্তাক্লিষ্ট দিলশাদ। ব্যাঙ্কের এসএমএস দেখে সঙ্গে সঙ্গে তা ওপেন করেন। এরপর তিনি যা দেখলেন, তাতে প্রায় জ্ঞান হারানোর অবস্থা। কারণ স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া থেকে আসা এসএমএস দেখে তিনি জানতে পারেন, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৯৯.৯৯ কোটি টাকা জমা পড়েছে।
রাতভর আনন্দে ঘুমোতে পারেননি দিলশাদ। কিন্তু, মনের মধ্যে একটা ভয় তাঁর ছিলই। এই টাকা কীভাবে তাঁর অ্যাকাউন্টে এল? নিজের মনেই নিজেকে বার বার এই প্রশ্ন করছিলেন দিলশাদ। রবিবার স্থানীয় একটি এটিএম থেকে ব্যালান্স চেক করেন দিলশাদ। তখনও ওই
টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছিল বলে দাবি করেন তিনি। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার এই খবরের সত্যতা উড়িয়ে দেন। তবে, ব্যাঙ্ক খুললে দিলশাদের আচমকা কোটিপতি হওয়ার আসল কারণ জানা যাবেই বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকের মতে, নোটবাতিলের বাজারে অচল নোট জমা করার সময়ে কোনওভাবে তা দিলশাদের অ্যাকাউন্ট আপডেট হয়ে গিয়েছে। তার জেরেই এই ঘটনা।-এবেলা
১২ ডিসেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস