বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৪:২২:৪২

দেড় বছর ধরে ফ্লিপকার্টকে বোকা বানিয়ে কোটি টাকার প্রতারণা দুই ছাত্রের, কীভাবে?

দেড় বছর ধরে ফ্লিপকার্টকে বোকা বানিয়ে কোটি টাকার প্রতারণা দুই ছাত্রের, কীভাবে?

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: দু’জনের বাড়িই মধ্যপ্রদেশের বীচগন্ডি গ্রামে। দু’জনের জীবনধারণ বিলাসিতায় মাখামাখি। দু’জনেই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র। বয়স ২০। রাহুল মিনা বিটেক করছে গ্বালিয়র থেকে, আর জয়পুর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিঙে স্নাতক করছে ধর্মরাজ মিনা।

ঘটনা শুনে কেমন ‘বান্টি-বাবলি’কে মনে পড়ে গেল। অবশ্য বাটপারি কাকে বলে, তা দেখিয়ে দিল দুই কলেজ পড়ুয়া।

দু’জনের বাড়িই মধ্যপ্রদেশের বীচগন্ডি গ্রামে। দু’জনের জীবনধারণ বিলাসিতায় মাখামাখি। গ্রামের রাস্তায় দামি গাড়িতে ছিল তাদের চলাফেরা। দু’জনেই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র। বয়স ২০। রাহুল মিনা বিটেক করছে গ্বালিয়র থেকে, আর জয়পুর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিঙে স্নাতক করছে ধর্মরাজ মিনা।
এই পর্যন্ত ‘মিল’গুলি ঠিক ছিল। কিন্তু এর পরের ‘মিল’টি না হলেই বোধহয় ভাল ছিল।
প্রায় দেড় বছর ধরে লাগাতার ফ্লিপকার্ট থেকে দামি মোবাইল অর্ডার করত রাহুল ও ধর্মরাজ। অবশ্যই বেনামে। ভিন্ন ভিন্ন নাম, ঠিকানা দিয়ে অর্ডার প্লেস করত দু’জন। তারপর পার্সেল এলে, তাতে কিছু নেই বলে ‘কমপ্লেন’ করে কম্পানির কাছ থেকে টাকা রিফান্ড নিত। বেশ কয়েকবার এমন হওয়ার পরে, ফ্লিপকার্টের নজরে আসে যে একই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দু’বার রিফান্ড হয়েছে। সেই সূত্র ধরেই পুলিশে সব কিছু জানায় কম্পানি। গতকাল, প্রথম দফায় রাহুল মিনা ও ধর্মরাজ মিনাকে গ্রেফতার করে  পুলিশ। কোর্টের নির্দেশে আপাতত ছ’দিনের জন্য দু’জনকেই পুলিশ হেফাজতে রাখা হবে।

ফ্লিপকার্ট থেকে ‘পাওয়া’ মোবাইলগুলি যাদের মাধ্যমে বেচাকেনা করত রাহুল ও ধর্মরাজ মিনা, তাদের মধ্যে পাঁচজনকেও ধরতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। পুলিশসূত্রে জানা যায়, এক কোটিরও বেশি টাকা ‘রোজগার’ করেছে রাহুল ও ধর্মরাজ।-এবেলা
১৫ ডিসেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে