এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : চার দিকে প্রবালবেষ্টিত দ্বীপ ছোট্ট একটি দেশ টুভালু। দেশটি বিশ্বের চর্তুথতম ক্ষুদ্রদেশ টুভালু। ১৯৯৩ সাল থেকে সমুদ্রপৃষ্টের উচ্চতা বাড়ার কারনে প্রতিবছর জমি হারাচ্ছে টুভালু এজন্য জাতিসঙ্ঘের কাছে নানাভাবে দেন দরবার করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী এনেল সোপোয়াগা। কারন পরিবেশবিদরা বলেছেন আগামি কয়েক বছরের মধ্যে দেশটি বিলীন হয়ে যাবে। জাতিসঙ্ঘ পরিবেশ সম্মেলনে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় দেশটি বাচাতে সব দেশ সাহায্য করবে। দেশটির আয়ের প্রধান উৎস বৈদেশিক সাহায্য। টুভালুর পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৭৮ সালে। এর স্বাধীনতা দিবস পালিত হয় ১ অক্টোবর।
টুভালু সাধারণত ‘এলিস দ্বীপ’ নামে পরিচিত। পলিনেশিয়ান দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত। অস্ট্রেলিয়া ও হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মাঝামাঝিতে এর অবস্থান। ১১ হাজার ৯৯২ জন মানুষ নিয়ে বিশ্বের তৃতীয় সর্বনিম্ন জনসংখ্যার সার্বভৌম দেশ এটি। এর চেয়ে কম জনসংখ্যা রয়েছে ভাটিকান সিটি ও নাউরুতে। এর আয়তন মাত্র ২৬ বর্গকিলোমিটার। আয়তনে বিশ্বের চতুর্থ ছোট দেশ এটি।
এ দেশের আদি অধিবাসীরা ছিল পলিনেশিয়ান। উনিশ শতকের শেষের দিকে দ্বীপটি যুক্তরাজ্যের অধীনে আসে। এলিস দ্বীপ নামে পরিচিত দেশটি ইংল্যান্ডের আশ্রিত রাজ্য হিসেবে শাসিত হয় ১৮৯২ থেকে ১৯১৬ সাল পর্যন্ত। এরপর ‘গিলবার্ট ও এলিস দ্বীপ’ নামে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের উপনিবেশ হিসেবে শাসিত হয়। ১৯৭৪ সালে এলিস দ্বীপে গণভোট হয়। এ সময় গিলভার্ট দ্বীপ আলাদা হয়ে যায়। এলিস দ্বীপ টুভালু নামে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত হয়। দেশটি পূর্ণ স্বাধীনতা পায় ১৯৭৮ সালে। গিলবার্ট দ্বীপ কিরিবাতি নামে আলাদা রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
এক নজরে
দেশের নাম
টুভালু
রাজধানী
ফুনাফুটি
মুদ্রা
টুভালুয়ান ডলার ও অস্ট্রেলিয়ান ডলার
ভাষা
টুভালুয়ান ও ইংরেজি
সরকারব্যবস্থা
সংসদীয় গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক রাজতন্ত্র
রাষ্ট্রপ্রধান
রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ
আয়তন
২৬ বর্গকিলোমিটার
লোকসংখ্যা
১২ হাজার ৩৭৩ জন
জনসংখ্যার ঘনত্ব
৪৭৫ দশমিক ৮৮ জন প্রতি বর্গকিলোমিটারে
মাথাপিছু আয়
এক হাজার ৬০০ ডলার
১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম