বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:৪৮:৪০

তিমি মাছের বমিতে ভাগ্য বদলে গেল তিন মৎসজীবীর

তিমি মাছের বমিতে ভাগ্য বদলে গেল তিন মৎসজীবীর

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: খুশি হওয়ার কত কারণই না থাকে মানুষের। বৈশাখ মাসে কেউ পথচলতি একখানা আম কুড়িয়ে পেলে খুশি হয়, আবার পেয়ারা গাছের নীচ দিয়ে যাওয়ার সময়ে যদি হঠাৎ একটা ডাঁসা পেয়ারা পড়ে থাকতে নজরে আসে, মনটা নেচে ওঠে। তেমনই কখনও ধরুন টাকা পয়সার টানাটানি। হাঁটতে গিয়ে আচমকা একটা ১০০ টাকার ময়লা নোট কুড়িয়ে পেলেন। একটু যে খুশি হবেন না, এমন কথা আপনার শত্তুরেও বলবে না।

কিন্তু কখনও কি শুনেছেন, বমি পাওয়ায় খুশি হয়েছে কেউ? হ্যাঁ, বমি। পাচনক্রিয়ায় গোলমাল হলে বা অন্য কোনও শারীরিক গোলযোগের কারণে যে বমি হয়, সেই বমি। ওমানের তিন যুবক কিন্তু বেজায় খুশি হয়েছেন বমি পাওয়ায়। অবশ্য তাঁদের খুশি হওয়ার কারণও রয়েছে। কারণ বমির ওজন প্রায় ৮০ কেজি এবং ভারতীয় অর্থে তার দাম প্রায় ১৭ কোটি টাকা। 

মনে হতেই পারে সামান্য বমির এত দাম কেন। তারও উত্তর রয়েছে বৈকি। তিমির বমি ভাসমান অবস্থায় দেখতে পাওয়াই এক বিরল ঘটনা। কালেভদ্রে নিরক্ষীয় এলাকায় মাঝ সমুদ্রে দেখতে পাওয়া যায় এই জিনিস৷ মোমের মতো তরল এই বস্তু তিমির শুক্রাণুর সঙ্গে মিশে অন্ত্রের মধ্যে দিয়ে নিঃসৃত হয়। তবে তরল অবস্থায় এর থেকে উৎকট গন্ধ বের হয়। কিন্তু শুকিয়ে গেলেই পৃথিবীর বিরলতম জিনিসগুলোর মধ্যে একটি হয়ে যায় এটি। তার কারণ অবশ্য এর সুগন্ধ। তিমির শুকনো বমি সুগন্ধীর বাজারে মহামূল্যবান।

একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, কিছুদিন আগে তিন বন্ধুকে নিয়ে ওমানের কুরায়ত এলাকায় মাছ ধরতে গিয়েছিলেন খালিদ। তখনই এক উৎকট গন্ধ তাঁদের নাকে আসে। জলে ভাসমান ঘন তরল পদার্থটি দেখে চিনতে ভুল করেননি তাঁরা। তা তুলেও নিয়ে আসেন। দু’দিন পর থেকেই দুর্গন্ধ যখন সুগন্ধে বদলে যায়, তখন তিনজনই উল্লাসে মেতে ওঠেন। জানা গিয়েছে, ৮০ কেজি তিমির বমি তাঁরা নিজেদের মধ্যে সমানভাবেই ভাগ করে নিয়েছেন।-এবেলা

২২ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/সবুজ/এসএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে