মঙ্গলবার, ০৩ জানুয়ারী, ২০১৭, ০৫:২৪:০০

মৎস্যজীবীরা ভেবেছিলেন প্রচুর মাছ উঠেছে, কিন্তু পরে যা দেখলেন তাতে আপনিও আঁতকে উঠবেন

মৎস্যজীবীরা ভেবেছিলেন প্রচুর মাছ উঠেছে, কিন্তু পরে যা দেখলেন তাতে আপনিও আঁতকে উঠবেন

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক:  প্রচুর পরিমাণে মাছ ধরা পড়েছে জালে। স্বভাবতই খুশি জেমসরা। জেমসরা তখনও জানেন না, মাছের ভিড়ে কোন ভয়ঙ্কর জীব লুকিয়ে রয়েছে। ভাগ্যের উপরে কারো হাত নেই। জেলেরা যখন মাছ ধরতে যান, তখন কতটা মাছ পাবেন, না পাবেন, তার অনেকটাই ছেড়ে দেন ভাগ্যের উপরে। কিন্তু ভাগ্যের জোরে এমন অদ্ভুত একটি জীব যে তাঁদের জালে ধরা পড়বে, তা ভাবতেও পারেননি অস্ট্রেলিয়ার মৎস্যজীবীরা। 

বছর খানেক আগে জেমস ওয়েন এবং তাঁর সহযোগীরা আর পাঁচটা দিনের মতোই ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন পোর্টল্যান্ডের সমুদ্রে। বিশালাকার জাল ফেলে রাখা ছিল জলে। এগোচ্ছিল ট্রলার। ট্রলার একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার পরে জাল উপরে তোলার সময় উপস্থিত হল।

জাল ধরে টান দেওয়ার সময়েই বেশ ভারি ঠেকল জালটা। জেমসরা বেশ উৎসাহী হয়ে উঠলেন। ভাবলেন, আজ নিশ্চয়ই প্রচুর পরিমাণে মাছ ধরা উঠবে জালে। কিন্তু তাঁদের কল্পনাতেই ছিল না, জালে কী ধরা পড়েছে। 

জাল যখন উপরে উঠল, তখন দেখা গেল, জাল একেবারে মাছে পরিপূর্ণ। প্রচুর পরিমাণে মাছ ধরা পড়েছে জালে। স্বভাবতই খুশি জেমসরা। জেমসরা তখনও জানেন না, মাছের ভিড়ে কোন ভয়ঙ্কর জীব লুকিয়ে রয়েছে। 

জাল খালি করার জন্য মাছ বার করা শুরু করা হতেই জেমসরা টের পান, জালের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে কোনও এক বিশালাকার জীব। তার পরেই বোঝা যায়, আসলে জালের মধ্যে মাছের সঙ্গে উঠে এসেছে একটি দানব হাঙর। সেটিকে দেখে আঁতকে ওঠেন মৎস্যজীবীরা।

হাঙরটি অবশ্য ততক্ষণে মারা গিয়েছে। কিন্তু সেই মৃত হাঙরটি নিয়ে কী করবেন, জেমসরা ভেবে পাচ্ছিলেন তা। শেষ পর্যন্ত তাঁরা ঠিক করেন, মাছটি সংগ্রহের জন্য মেলবোর্ন মিউজিয়মের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।

মেলবোর্ন মিউজিয়মের কিউরেটর ডক্টর মার্টিন গোমন এই প্রসঙ্গে জানান, ‘এটা আদপে বাস্কিং শার্ক। হাঙরটি দৈর্ঘ্যে ৬.২ মিটার। এর বুকের কাছে থাকা পেক্টোরাল পাখনা দু’টি ১ মিটার লম্বা। আর পিছনের ডানা দু’টি ১.২ মিটার লম্বা। গত ৮০ বছরে এর থেকে বড় হাঙর ধরা পড়েনি অস্ট্রেলিয়া।’-এবেলা

০৩ জানুয়ারি ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে