এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ১৯৪৫ সালে তাইওয়ানে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর। জানিয়ে দিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে যাবতীয় বিতর্ক ও গবেষণার মধ্যেই সরকারের বক্তব্য, নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল বিমান দুর্ঘটনাতেই।
তথ্য জানার অধিকার আইনে নেতাজির মৃত্যুর কারণ জানতে চেয়ে একটি আবেদন জমা পড়েছিল ভারত সরকারের কাছে। শাহনাওয়াজ কমিটি, বিচারপতি জি ডি খোসলা কমিশন ও বিচারপতি মুখার্জি কমিশনের যাবতীয় গবেষণা ও তথ্য বিচার করে কেন্দ্র এই সিদ্ধান্তেই শিলমোহর দিল।
সম্প্রতি মুখার্জি কমিশনের একটি রিপোর্টে গুমনামি বাবা বা ভগবানজি নামে দু'জনের উল্লেখ পাওয়া যায়। নেতাজি বৃদ্ধ বয়সে ছদ্মবেশে থাকার একটি তত্ত্ব। মুখার্জি কমিশনও জানিয়ে দিয়েছে, গুমনামি বাবা বা ভগবানজি সুভাষচন্দ্র বসু নন।
যদিও কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নেতাজির পরিবার। নেতাজির ভাইপো তথা বিজেপি নেতা চন্দ্র বসুর কথায়, 'অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপ কেন্দ্রের। কোনও শক্তিশালী প্রমাণ হাতে না পেয়ে এভাবে নেতাজির মৃত্যু কারণ ঘোষণা করে দেওয়া ঠিক নয়। আমি তীব্র বিরোধিতা করছি। অত্যন্ত খারাপ কাজ।'
তথ্যের অধিকার আইনের মাধ্যমে করা একটি আবেদনের উত্তরে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় জানিয়েছে, ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট বিমান দুর্ঘটনাতেই নিহত হন। ওপেন প্ল্যাটফর্ম ফর নেতাজির মুখপাত্র সায়ক সেন তথ্য জানার অধিকার আইনের মাধ্যমে এই প্রশ্নটির উত্তর ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের কাছে জানতে চেয়েছিলেন।
সায়ক সেনও বলেছেন, ‘আমরা নেতাজি রহস্যের উন্মোচন করতে চাই। কারণ, বিমান দুর্ঘটনাতেই নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল, তা নিয়ে কোনও তথ্য প্রমাণ নেই।’ নেতজির পরিবারের একাংশ ও অনেক গবেষকও মনে করেন বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়নি। ভারত সরকারের এই আরটিআই উত্তর সেই বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিল।
৩১ মে, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস