এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: মৃত মেয়েকে কবরস্থ করার পরে পরিবারের লোকদের মনে হতে থাকে, তাদের মেয়ে মারা যায়নি। শেষমেশ তাকে কবর থেকে তুলে আনা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় ওঝার কাছে।
যতই কুসংস্কার আর অন্ধ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নানা রকম প্রচার অভিযান চালানো হোক না কেন, এখনও যে পরিস্থিতির খুব উন্নতি হয়নি, আরও একবার প্রমাণিত হল বসিরহাটের ঘটনায়।
বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি তালতলা শাকদহ গ্রামে সাপের কামড়ে মৃত্যু হয় সেরিনা খাতুন (১২) নামে এক কিশোরীর। বাড়ির লোক স্হানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এর পর ওই নাবালিকাকে শেষকৃত্যের আচার মেনে কবর দেওয়া হয়। মৃত মেয়ে ফের বেঁচে উঠবে, ওঝার পরামর্শে কবর খুঁড়ে দেহ তুললেন বাবা-মা।
এর পরই ঘটনা মোড় নেয় অস্বাভাবিক দিকে। আচমকা পরিবারের লোকদের মনে হতে থাকে, তাদের মেয়ে মারা যায়নি। শেষমেশ তাকে কবর থেকে তুলে আনে বাড়ির লোক। উদ্দেশ্য, ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া।
মঙ্গলবার বিকেলে বসিরহাট থানার ধলতিতা গ্রামে এক ওঝার কাছে তার নিথর শরীর নিয়ে আসা হয়। বিকেল থেকে চারঘণ্টা দুই ওঝা বিউটি বিবি ও গুলফান আলি ঝাড়ফুঁক করতে থাকে ওই কিশোরীর প্রাণ ফিরিয়ে দেবে বলে। ঘটনা জানাজানি হতেই বসিরহাট থানায় খবর দেয় স্হানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ দেরি করে আসাতে বিক্ষোভের মুখে পড়ে।
পুলিশ বাহিনী এসে দুই ওঝাকে গ্রেপ্তার করে। এখন তারা শ্রীঘরে। কিশোরীর মৃতদেহটি বসিরহাট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বসিরহাট থানা।-এবেলা
এমটিনিউজ২৪/এম,জে