এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: আধুনিক শিষ্টাচার নিয়ে ক্লাস। অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া হাইস্কুলে শিষ্টাচারের ক্লাসে শেখানো হল, কী ভাবে হাইহিল পরতে হয়। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে ছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে থেকে। সালটি ১৯৫০ নয়, সালটি ২০১৭। প্রতিবাদ পত্রে এমনটাই লিখেছে ছাত্রীরা।
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া হাইস্কুলে শিষ্টাচারের ক্লাসে শেখানো হয়েছিল ছাত্রীদের কী ভাবে হাইহিল পড়তে হয়। এরপরেই গিরটন গ্রামার স্কুলের ছাত্রীরা মেয়েদের সেশনের দিকে টার্গেট করে। একদিকে, ছাত্রদের সঙ্গে ছাত্রীদের একসঙ্গে বসানো হচ্ছে, অন্যদিকে, তাদের হাইহিল আনতে বলা হচ্ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের এই আচরণকে হীন আচরণ এবং লিঙ্গ বৈষম্যমূলক বলেও মন্তব্য করেছে ছাত্রীরা।
ভিক্টোরিয়া হাইস্কুলে উইকলি ওয়ার্কশপের অধীনে শিষ্টাচারের ক্লাস হয়। পরবর্তী জীবনে সাহায্যের জন্যই এই শিষ্টাচারের ক্লাস নেওয়া হয়।
কিন্তু ছাত্রীদের মনে হয়েছে হিল নিয়ে ক্লাস নেওয়াটা এযুগের পক্ষে একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। কেননা সালটা ১৯৫০ নয়, ২০১৭। ছাত্রীদের বিরোধিতার জেরেই হিল নিয়ে ওয়ার্কশপ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক ম্যাথু মারুফ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সামাজিক এবং কর্মক্ষেত্রে নিজের আচরণ জাহির করতেই ছাত্রীদের জন্য ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়। কীভাবে সম্মান দিয়ে কথা বলতে হয়, তাও শেখানো হয় ওই ওয়ার্কশপে। আধুনিক শিষ্টাচারের ক্লাসে তো দুই ছাত্রী জানিয়েছে, তারা স্কুলে হাইহিল পরাটা অস্বস্তিজনক বলে মনে করছে। অন্যদিকে, অনেক ছাত্রীই হাই হিল নিয়ে তাদের মতামত জানিয়েছে। স্কুল ছাত্রীদের এই মতামতকে সমর্থন করেন বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।
তবে মেলবোর্ন-এর স্কুল হাইহিল নিয়ে ক্লাস নেওয়ার ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছে। অভিজাত বেন্ডিগো স্কুলে হাই হিল নিয়ে প্রাথমিক আলোচনার প্রথম দফাতেই বিরোধিতা হয়। বিরোধিতা করেন আমন্ত্রণকারী বক্তারা। তাঁরা জানিয়েছেন, যদি নিজের মেয়ের জন্য ভিক্টোরিয়ার স্কুলকে পছন্দ করেন, তাহলে, তিনি এই ঘটনাকে কখনই সমর্থন করবেন না। তাঁরা কি ১৯৫০ সালে পড়ে রয়েছেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন ওই বক্তা।
কীভাবে এক পুরুষ প্রধান শিক্ষক, মেয়েদের স্কুলের শিষ্টাচারের ক্লাসে হাই হিল নিয়ে ক্লাসের বন্দোবস্ত করছেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছাত্র কিংবা ছাত্রীরা যাঁরা স্কুল ছেড়ে যাচ্ছেন, তাঁরা কীভাবে নিজেদেরকে বাইরের জগতের কাছে উপস্থাপন করবে, সেটা শেখাটা জরুরি। কীভাবে হাসতে হবে কিংবা তাকাতে হবে এবং কীভাবে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে হবে, তার শিক্ষা দেওয়াটা জরুরি।
সূত্র: এবিসি নিউজ, ওয়ান ইন্ডিয়া
এমটিনিউজ২৪ডটকম/এপি/ডিসি