এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মুনা বেশ অনেকদিন ধরেই চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছিল। কর্মক্ষেত্রে নানা ধরনের প্রতিবন্ধতা মানিয়ে চলা তার জন্য একেবারেই সম্ভব হচ্ছিল না।
ছাড়বো ছাড়বো করে কয়েক মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর অবশেষে হুট করে ছেড়েই ছিল সে চাকরি। তবে চাকরি ছাড়ার পর আরও নতুন কিছু প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়ে আরও যেন হতাশা বেড়ে গেল মুনার।
চাকরি ছেড়ে দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। আর্থিক স্থিতিশীলতা, ক্যারিয়ারের গতিপথসহ নানা দিক এতে প্রভাবিত হতে পারে। কর্মক্ষেত্র ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাই বিবেচনা করতে হবে কয়েকটি বিষয়। জেনে নিন সেগুলো কী কী।
তাড়াহুড়ো করে বর্তমান চাকরি ছেড়ে দেবেন না। চাকরি ছাড়ার কথা চিন্তা করার সাথে সাথে আপনার ক্ষেত্রের চাকরির বাজার নিয়ে গবেষণা শুরু করুন। কোথায় কোথায় ভালো সুযোগ পেতে পারেন সেগুলো নিয়ে খোঁজখবর করতে থাকুন।
যদি চাকরির কারণে মানসিক চাপ বা স্বাস্থ্য সমস্যা হয়, তাহলে ছেড়ে দেওয়া ভালো সিদ্ধান্ত। এছাড়াও চাকরি ব্যক্তিগত জীবন এবং সম্পর্ককে প্রভাবিত করেলে সেটাও চাকরি ছাড়ার কারণ হতে পারে। তবে রাগের মাথায় হুট করে ছাড়বেন না। সমস্যাগুলোর সমাধান আদৌ সম্ভব কিনা সেটা ভালোভাবে ভেবে নিন।
নতুন চাকরি পাওয়ার আগে যদি বর্তমান চাকরি ছেড়ে দিতেই হয়, তবে অন্তত কয়েক মাস জীবনযাত্রার খরচ চালানোর মতো আপনার যথেষ্ট সঞ্চয় আছে তা নিশ্চিত করুন। যখন আপনি উপযুক্ত চাকরি খুঁজবেন, তখন যেন ঠিকমতো নিজেকে চালাতে পারেন।
আপনি যদি মনে করেন যে আপনার বর্তমান কাজের জায়গাটি আপনার জন্য উপযুক্ত নয় বা অভ্যন্তরীণ রাজনীতি রয়েছে যা আপনাকে মানসিকভাবে প্রভাবিত করছে, তাহলে নতুন চাকরি খুঁজতে পারেন।
তবে বর্তমান নিয়োগকর্তা এবং কোম্পানির সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করুন। কারণ ভবিষ্যতে ইতিবাচক রেফারেন্সের জন্য তাদের উপর নির্ভর করতে হতে পারে। এক্ষেত্রে যথাযথ নোটিশ দেওয়া এবং দায়িত্বগুলো ঠিকঠাক পালন করে বুঝিয়ে দেওয়া জরুরি।
যদি পদবী বা বেতনের টাকা চাকরি ছাড়ার কারণ হয়, তাহলে নিয়োগকর্তার সাথে আপনার উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। কখনও কখনও বেতন, কাজের চাপ বা কাজের দায়িত্বের মতো সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। এতে বর্তমান চাকরিটি ছাড়ার প্রয়োজন নাও হতে পারে। তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া