৩০ জনকে কাঁচা খেয়েছে রাশিয়ার এই নরখাদক পরিবার

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: এই পরিবারের বক্তব্য শুনলে হাড়হিম হয়ে যায়। পরিবারের সকলেই মানুষ খায়। গত ১৮ বছরে খুন করে কেটে খেয়েছে ৩০ জনকে। খাওয়ার আগে মৃতদেহের সঙ্গে সেলফি-ও তোলে এরা!

রাশিয়ার ওই পরিবারের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৮টি দেহাংশ। ঘটনার আকস্মিকতায় বাকরূদ্ধ পুলিশও। নরখাদক দম্পতিকে জেরায় উঠে আসছে চমকে দেওয়া তথ্য।

দক্ষিণ রাশিয়ার ক্রাসনোদারের বাসিন্দা ৩৫ বছরের দিমিত্রি বাকসিভ এই কীর্তি শুরু করেছে ১৯৯৯ সাল থেকে। তারা পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছে, সম্প্রতি তারা এক ব্যক্তিকে মেরে খেয়েছে। তার স্ত্রী নাতালিয়া নামের ৪২ বছর বয়সি নার্স তার এই ভয়ানক কুকর্মের সঙ্গী। তাদের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া গিয়েছে কীভাবে মানুষ খেতে হয়, তার ভিডিয়ো।

দিমিত্রি পুলিশকে জেরায় বলেছে, সে ও তার স্ত্রী এখনও পর্যন্ত ৩০ জনকে খেয়েছে। যদিও নাতালিয়ার মস্তিষ্ক পরীক্ষা করে কিছু অস্বাভাবিক পাননি চিকিত্‍‌সকরা। দিমিত্রি ও তার স্ত্রী মানুষ মেরে মাংস কেটে ফ্রিজে রেখে দিত। ফ্রিজ খুলে পাওয়া গিয়েছে বরফ জমাট ৭টি দেহাংশ। এছাড়া কিছু জারে পাওয়া গিয়েছে মাংসের টুকরো। ১৯টি মানব-চামড়া পাওয়া গিয়েছে।

সম্প্রতি দক্ষিণ রাশিয়ার ক্রাসনোদার শহরে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়। সেই ফোনে একটি সেলফি-তে দেখা যায়, একটি মৃতদেহের সঙ্গে দিমিত্রির সেলফি। তারপরেই তদন্তে নামে পুলিশ। আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, কাস্তে ও হাতুড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে দিমিত্রি। তার সামনে পড়ে রয়েছে এক মহিলার মুন্ডু। সামনে আসে হাড়হিম করা ঘটনা। প্রথমে উদ্ধার হয় একটি মহিলার দেহাংশ। জানা গিয়েছে, দিমিত্রি মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে চাকরি করে।

দিমিত্রির অফিসের কয়েকজন কর্মী জানিয়েছে, যখনই তারা দিমিত্রির বাড়িতে ঢুকতে চাইতেন, তখনই নাতালিয়া চিত্‍‌কার, অশান্তি করে তাদের বাধা দিত। এই ঘটনাটিতে তোলপাড় তামাম রাশিয়া। রাশিয়ার অপরাধের ইতিহাসে এটা নজিরবিহীন। শেষের ছবিতে ডান পাশের এই ৩৫ বছর বয়সী নারী ছিল তাদের সর্বশেষ শিকার।-সূত্র: ডেইলি মেইল, সিএনএন
এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি/এএস