বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৭, ০৮:৫৯:০৪

শীঘ্রই সম্পূর্ণ নিরাময় হবে অ্যাজমা

 শীঘ্রই সম্পূর্ণ নিরাময় হবে অ্যাজমা

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বিশ্বের বহু মানুষই শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমায় আক্রান্ত। বহু চিকিৎসাতেই তাদের শ্বাসকষ্ট পুরোপুরি নিরাময় হয় না।
আর এসব মানুষের জন্যই খুশির খবর এনেছেন গবেষকরা। বলছেন, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই তারা সম্পূর্ণ নিরাময় করতে সক্ষম হবেন অ্যাজমা।

গবেষকরা বলছেন, সারা বিশ্বে প্রায় ৩০ কোটি মানুষ শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় আক্রান্ত। এর মধ্যে কিছু সংখ্যক লোকের ক্ষেত্রে বর্তমান প্রচলিত শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা পদ্ধতি কাজে লাগছে। অন্যদের চিকিৎসাতেও শ্বাসকষ্ট পুরোপুরি সারছে না।

আশার কথা উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়। তাতে বলা হয়েছে, এমন কিছু ওষুধ নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে, যার ফলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে শ্বাসকষ্ট পুরোপুরি দূর করা সম্ভব হবে। এছাড়া তারা বলছেন, হাড়ের রোগ অস্টিওপোরোসিসে ব্যবহৃত হয় এমন কিছু ওষুধ দিয়ে শ্বাসকষ্ট চিকিৎসা করা সম্ভব। আর সে গবেষণাই চলছে এখন।

কিংস কলেজ লন্ডন এবং মায়ো ক্লিনিকের একদল গবেষক মিলিতভাবে এই গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাটি করেন। গবেষণাটির বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে সায়েন্স ট্রান্সলেশন মেডিক্যাল জার্নালে।

গবেষকরা বলছেন, ক্যালসিয়াম সেন্সিং রিসেপটর এক ধরনের প্রোটিন, যা শ্বাসকষ্ট হওয়ার পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত এবং আক্রান্ত নন এমন মানুষের ওপর চালানো হয় এই গবেষণা। গবেষণাপত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয় ক্যালসিলাইটিস-জাতীয় ওষুধের ওপর, যা এই সিএএসআর এর লক্ষণগুলোকে পরিবর্তন করে দেয়।

স্কুল অব বায়োসায়েন্স থেকে আসা প্রধান গবেষক অধ্যাপক ডেনিয়েলা রিকার্ডি বলেন, শ্বাসপথের প্রদাহ পরিবেশগত কারণে হয়। যেমন : ধূমপান, গাড়ির ধোঁয়া এবং অ্যালার্জিজনিত কারণেও শ্বাসকষ্ট হয়। আর এ শ্বাসকষ্টের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখে এমন ওষুধের সন্ধান তারা পেয়েছেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, শ্বাসকষ্ট হওয়ার জন্য দায়ী বিষয়গুলো শ্বাসনালির টিস্যুতে গিয়ে সিএএসআরকে কার্যকর করে তোলে। এর ফলে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। তবে তারা যে ওষুধটি নিয়ে কাজ করছেন, সেটি এ লক্ষণগুলোকে কার্যকরভাবে দূর করতে পারে।

গবেষকরা বলছেন, এই ফলাফল বহু মানুষের জীবনযাপনকে সহজ করে দেবে। যদি এই গবেষণার ফল সফল হয়, তাহলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে শ্বাসকষ্ট নিরাময় করা সম্ভব হবে।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে