এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : এলিসা ল্যামকে শেষবার দেখা গিয়েছিল ২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি। লস অ্যাঞ্জেলসের শহরতলীর সেসিল হোটেলের লবিতে তাকে শেষ দেখা যায়।
ওয়েস্ট কোস্টে ছুটি কাটাচ্ছিলেন তিনি। নিজের ব্লগে তার ভ্রমণ নিয়ে লেখালেখিও করছিলেন। বাবা-মায়ের সঙ্গে প্রতিদিনই যোগাযোগ হতো তার জানুয়ারির ৩১ তারিখে তার দেওয়া প্রতিদিনের কল হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায়।
ওই সময় থেকেই একেবারে হাওয়ায় মিলিয়ে যান তিনি। খুব দ্রুত পুলিশ আসে। এলিসার বাবা-মাও চলে আসেন মেয়েকে খুঁজতে। কিন্তু কিছুই পাননি তারা।
ফেব্রুয়ারিতে লস অ্যাঞ্জেলস পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এলএপিডি) ওই হোটেলের এলিভেটরের নজরদারিতে থাকা ক্যামেরার ভিডিই প্রকাশ করে। সেখানে ল্যামকে পাওয়া যায়।
দেখা যায়, এলিভেটরে তিনি অদ্ভুত আচরণ করেছেন। ওখানে তিনি কোনো অদৃশ্য মানুষের সঙ্গে কথা বলছিলেন। বার বার এলিভেটরের কোণার দিকে তাকাচ্ছিলেন, যেন ওখানে কেউ আছে। মাঝে মাঝে ঘুপটি মেরে কোনো কোণায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন।
এলিভেটরের দরজা খুলছেন আর বন্ধ করছেন। এই ভিডিওটি হাজারো প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। মানসিক বিকারগ্রস্তের মতো আচরণ কেন করলেন এলিসা? তার কোনো মানসিক সমস্যা ছিল না। তবে এলিসার এমন আচরণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে অনেকেই বলেছেন যে, কোনো আত্মা ভর করেছিল তার ওপর। ক্যামেরায় আত্মার তো দেখা মিলবে না।
এর পর থেকেই সেসিল হোটেলে অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটতে শুরু করলো। এ বিষয়ে রিপোর্ট করতে থাকলেন কর্মচারীরা। হোটেলে ওঠা মেহমানরাও নানা অস্বাভাবিক ঘটনার স্বাক্ষী হলেন। তদন্ত চলাকালীন একটি কক্ষে ৮ দিন ছিলেন সাবিনা বাগ।
একদিন তিনি দেখলেন, বাথরুমে তার ট্যাপ ছাড়ার পর প্রথম দুই সেকেন্ড কালো পানি আসলো। এর পরই স্বাভাবিক রংহীন পানি। আর পানির স্বাদ ছিল বিদঘুটে।
ফেব্রুয়ারির ১৯ তারিখে হোটেলের এক কর্মচারী ছাদে উঠলেন। মই নিয়ে উঠলেন পানির ট্যাঙ্কি দেখতে। আর সেখানেই মিলল এলিসার মৃতদেহ। পোশাক ও অন্যান্য জিনিস আরেকটু দূরে পড়েছিল।
অনেকে তদন্ত আর অনুসন্ধানের পর কোনো সমাধান মেলেনি। ওই ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে রিপোর্ট করা হয়। এই ভৌতিক ঘটনার কোনো সুরাহা হয়নি।
এমটিনিউজ/এসএস