সাপে কাটলে কেমন লাগে, মরতে মরতে লিখলেন ডাইরি
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : জেনেবুঝে কেউ যদি বিষাক্ত সাপের ছোবল খান এবং মৃত্যুর প্রহর গোনেন, সে তো এক ধরনের আত্মহত্যাই! কিন্তু তিনি তীব্র হতাশায় থেকে এ কাজ করেননি। এটা তার কাছে ছিল গবেষণা।
সাপের ছোবল খাওয়া থেকে মৃত্যুর আগের মুহূর্ত পর্যন্ত তার অনুভূতি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে লিখে রেখে গেছেন ডায়েরিতে। যাকে তিনি নিজে উল্লেখ করেছেন ‘ডেথ ডায়েরি’ বলে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিষাক্ত প্রজাতির এক সাপের ছোবল খেয়ে ডাক্তার কার্ল প্যাটারসন শ্মিট মারা যান ১৯৫৭-এ। ডায়েরিতে লিখেছেন, তিনি যে মরতে চলেছেন, সেটা অনুভবই করতে পারছেন না। মৃত্যুর আগে গোটা একটা দিন সময় পেয়েছেন।
তার মধ্যে লিখে গেছেন, অনুভূতিগুলো। এর মধ্যে তার চিকিত্সার প্রয়োজন কিনা, জিজ্ঞেস করা হলে সবিনয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেন ওই ডাক্তার। কারণ তিনি চাননি মৃত্যুর আগের অনুভূতিতে কোথাও ছেদ পড়ুক।
যেভাবে আর সবাই সাপ ধরেন, সেভাবে বিষধর সাপটিকে ধরেননি ওই ডাক্তার। কেন এমনটা করলেন, কেউ জানে না। শ্মিটের মাথায় সাপটি ছোবল দেয়। তার আগে সাপটিকে এক হাতে ধরে, ডায়েরির প্রথম পাতায় নিজে হাতে লেখেন ডেথ ডায়েরি। গোটা ঘটনাটি ঘটে চিকাগোর ন্যাচরাল হিস্ট্রির ফিল্ড মিউজিয়মে। জানা যায়, সাপটিকে আনা হয়েছিল লিঙ্কন পার্ক চিড়িয়াখানা থেকে।
লিখছেন রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে। বিরামহীন...। একটা সময় গা গুলিয়ে ওঠে ডাক্তারের। সাপের বিষ শরীরে গিয়ে রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না। যে কারণে রক্তক্ষরণ বন্ধ হতে চায় না, যা মৃত্যু ডেকে আনে।
ডায়েরির এক পাতায়, লাস্ট আপডেটে ডাক্তার লিখেছেন, কামড়ের পর ভোর হলো...।
১৮ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম
�