যেন রূপকথার রাজ্য!
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : পৃথিবীতে এমন অনেক জিনিস আছে যা মাঝে মধ্যে চোখে দেখেও বিশ্বাস করা যায় না। মনে হয় কোনও রূপকথার রাজ্যে চলে এসেছেন। আর সেই সব জায়গার ছবি দেখলে তো মনে হয় কোনও দক্ষ শিল্পীর ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলেছেন তার অসামান্য দক্ষতার এক দুর্দান্ত প্রমান। তেমনই কিছু জায়গার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তবে হলফ করে বলতে পারি, ছবি দেখেই মনে হবে ইস যদি আলাদিনের জাদুর চেরাগটি আমার কাছে থাকতো। তাহলে জিনকে হুকুম করা মাত্রই আমাকে সেই জায়গায় নিয়ে যেতাে!
ফ্লাই গিজার, নেভেদা : এই গিজারটি উচ্চতায় মাত্র ৫ ফুট। ১৯৬৪ সালে এটি তৈরি করা হয়েছিল জিওথার্মাল এনার্জির উত্সস্থলের খোঁজে।
রিখাট স্ট্রাকচার, মাউরিতানিয়া : এটি দেখে একটা সময়ে মনে করা হত কোনও উল্কাপাতের ফলে তৈরি হয়েছে। কিন্তু এখন মনে করা হয় প্রাকৃতিক ক্ষয়ের জন্যে এটি তৈরি হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনও কোনও তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
সালার দ ইউনি, বলিভিয়া : একটি প্রাগঐতিহাসিক হ্রদ শুকিয়ে গিয়ে তৈরি হয়েছিল পৃথিবীর বৃহত্তম সাল্ট ফ্লাট। জলের পাতলা স্তর ঢেকে রাখে এই সাল্ট ফ্লাট-কে। দেখলে মনে হবে যেন আয়না লাগিয়ে দিয়েছে কেউ। আর তাতেই প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে যা আপনাকে অবাক করে দেবে।
আপার কানারা ফলস, কানারভিল, উটাহ : নানা রঙের রায়ট লেগেছে যেন এখানে। ঘোরানো পেঁচানো এই গভীর গিরিখাত প্রকৃতির এক অনন্য সৃষ্টি। জলের গতিপথ এবং দীর্ঘ সময় ধরে বায়বীয় প্রভাব এটি সৃষ্টি করেছে।
ফিঙ্গালস কেভ, স্কটল্যান্ড : ঠাণ্ডা ও গরমের প্রভাবে জমাটবাঁধা লাভা রূপ পরিবর্তন করে এই গুহায় পরিবর্তিত হয়েছে। দেখলে মনে হবে কোনও জলতরঙ্গ।
স্কাফতাফেল, আইসল্যান্ড : আইসল্যান্ডের এই গুহাটি দেখা যায় শুধুমাত্র শীতকালে। তখন নদী শুকিয়ে গিয়ে জল জমে বরফ হয়ে যায়। সূত্র : টাইমস অপ ইন্ডিয়ার।
২৩ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�