শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৫, ১১:২৯:৪৮

এবার মাকড়সাকে বাঁচাতে পুলিশ!

এবার মাকড়সাকে বাঁচাতে পুলিশ!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : গভীর রাতে যুবকের তীব্র চিৎকার-চেঁচামেচি ও নারীকণ্ঠের কান্না শুনে প্রতিবেশীরা আতংকে পুলিশ খবর দিলেন। রাত তখন ২টা। অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র তীরবর্তী একটি বাড়ি। সেখান থেকে কেউ চিৎকার দিচ্ছে- ‘আমি তোকে খুন করব।’ হন্তদন্ত হয়ে পুলিশ হাজির। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, স্প্রেভর্তি একটা সিলিন্ডার হাতে এক যুবক দাঁড়িয়ে, আর সামনে একটি মরা মাকড়সা। খবর এএফপির। খবরে বলা হয়, শনিবার নিউ সাউথ ওয়েলসের ওলস্টোনক্রার্ফট শহরতলিতে ওই বাড়ির কক্ষ থেকে চিৎকারের শব্দ আসতে থাকে। স্থানীয়রা ভাবল, পুরুষ আর নারী-পুরুষের মধ্যে তীব্র কলহ শুরু হয়েছে। আতংক বেড়ে যায় তাদের। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়। প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, মানুষের মতো কাঁদছিলেন এক নারী। এ সময় একজন পুরুষ চিৎকার করে বলে ওঠেন, ‘আমি তোকে খুন করব। তুই মৃত! তুই মর, মর।’ এরপর ওই কক্ষ থেকে আসবাবপত্র ভাঙার শব্দও ভেসে আসে। খবর পেয়ে ওই বাড়ির সামনে হাজির হয় পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়ি। কক্ষের দরজায় ধাক্কা দিলে বেরিয়ে আসেন ৩০ বছর বয়সী এক যুবক। তখনও তিনি হাঁফাচ্ছিলেন। ভয়ে তার মুখ লাল হয়ে গিয়েছিল। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ স্ত্রী বা মেয়েবন্ধুর ব্যাপারে জানতে চায়। আমতা-আমতা করে যুবক বললেন, ‘আমার তেমন কেউই নেই।’ কিন্তু নারীর কান্না? পুলিশের প্রশ্ন। বিরক্ত স্বরে যুবকের জবাব, ‘আমি বুঝতে পারছি না আপনারা কার ব্যাপারে জানতে চাইছেন। এখানে আমি একা থাকি।’ কিন্তু মেরে ফেলার হুমকির ব্যাপারটা কী? যুবক জানান, ‘সেটা ছিল বড় একটি মাকড়সা। মারার জন্য এই স্প্রে হাতে কক্ষের মধ্যে আমি সেটিকে তাড়া করছিলাম। হ্যাঁ, নারীর কান্নার মতো শব্দও আমি করেছিলাম। আমি সত্যিই মাকড়সার ভয় করি।’ ২৮ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে