মঙ্গলবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯, ০৬:২৮:২৯

সামরিক শক্তির বিচারে পাকিস্তানের চেয়ে কতটা এগিয়ে ভারত? দেখে নিন..

সামরিক শক্তির বিচারে পাকিস্তানের চেয়ে কতটা এগিয়ে ভারত? দেখে নিন..

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : পৃথিবীর সবথেকে দুর্ধর্ষ সেনাবাহিনী কাদের? সেরা দেশগুলির তালিকায় কি নিজের জায়গা করে নিতে পেরেছে ভারত? আমেরিকা, রাশিয়াকে টক্কর দেওয়ার জায়গায় কে আছে? 

ভারত ও চীনের সামরিক শক্তির ফারাক কতটুকু? ২০১৮ সালের সেরা ২৫ সেনাবাহিনীর তালিকা প্রকাশ করেছিল গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার সংস্থা। দেখে নেওয়া যাক কারা জায়গা করে নিল।

তালিকা বানানোর সময় মোট ৫৫টি বিষয়কে মাথায় রাখা হয়েছে। ১৩৬টি দেশের তুল্যমূল্য বিচারের পরই ২০১৮ সালের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করেছে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার। সেনাবাহিনীর সংখ্যার পাশাপাশি অস্ত্রের বৈচিত্রের বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়েছে।

পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের ভৌগোলিক অবস্থান, প্রাকৃতিক সম্পদ, শিল্প পরিস্থিতি, পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার বিষয়টিও তালিকা তৈরির সময় বিবেচনা করা হয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্র থাকলে বোনাস পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের বিষয়টিকে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। 

অর্থাৎ, সেক্ষেত্রে মেলেনি কোনও অতিরিক্ত পয়েন্ট। দেশের অর্থনীতিকে বিবেচনা করা হলেও রাজনৈতিক ক্ষমতা কার হাতে আছে, সেই বিষয়টিকে তালিকা তৈরির সময় কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। 

নিজেদের মধ্যে কৌশলগত যোগাযোগের কারণে ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিকে কিছু অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধে দেওয়া হয়েছে পয়েন্ট দেওয়ার সময়। ২০০৬ সাল থেকে এই তালিকা বানাচ্ছে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার।

সেরা পঁচিশে জায়গা করে নিয়েছে এশিয়ার ১১টি দেশ, উত্তর আমেরিকার দু’টি, ইউরোপের আটটি, আফ্রিকার দু’টি, দক্ষিণ আমেরিকার একটি দেশ এবং অস্ট্রেলিয়া। সামরিক শক্তির দিক থেকে সেরা পঁচিশের তালিকায় ২১, ২২, ২৩, ২৪ এবং ২৫তম স্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড, আলজেরিয়া, তাইওয়ান এবং কানাডা।

সেরা পঁচিশের তালিকায় চার ধাপ নামল পাকিস্তান। সেই তালিকায় ১৬, ১৭, ১৮, ১৯ এবং ২০তম স্থানে আছে ইজরায়েল, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া, স্পেন এবং ভিয়েতনাম। গত বছরের হিসেবে পাকিস্তান ছিল ১৩ নম্বরে, এখন ১৭তম স্থানে।

তালিকায় ১১, ১২, ১৩, ১৪ এবং ১৫ নম্বর স্থানে আছে ইতালি, মিশর, ইরান, ব্রাজিল এবং ইন্দোনেশিয়া। দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র দেশ হিসেবে এই তালিকায় ঢুকে পড়েছে ব্রাজিল। প্রথম পনেরোতে জায়গা করে নিয়েছে এশিয়ার দুই দেশ ইরান এবং ইন্দোনেশিয়াও।

ছয় থেকে দশে ইউরোপীয় শক্তিরই প্রাধান্য। যারা অধিকাংশই ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশ। ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম এবং দশ স্থানে আছে যথাক্রমে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, তুরস্ক এবং জার্মানি।

পঞ্চম স্থানে আছে ইউরোপের আরেক শক্তি ফ্রান্স। আর চতুর্থ স্থানে ভারত। অর্থাৎ, সামরিক শক্তির দিক থেকে পৃথিবীর চতুর্থ শক্তিশালী দেশ ভারত। ভারতীয় সেনাবাহিনীর মোট সদস্যসংখ্যা প্রায় ৪২ লক্ষ।

ভারতের প্রতিরক্ষা বাজেট ৪৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এক সময় যে ইংল্যান্ডের কাছে পরাধীন থাকতে হয়েছিল, এখন তাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে ভারত। তালিকায় প্রথম তিনটি দেশ হল আমেরিকা, রাশিয়া আর চীন। 

অর্থাৎ, এই মুহূর্তে ভারতের থেকে সামরিকভাবে শক্তিশালী শুধু আমেরিকা, রাশিয়া আর চীন। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের হিসেবে নিশ্চিত ভাবেই সারা পৃথিবীতে সামরিক শক্তির এক্সক্লুসিভ এলিট গ্রুপে এখন জায়গা করে নিয়েছে ভারত।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে