এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বর্তমান বিশ্বে সব কিছুই পরিচালিত হচ্ছে সম অধিকারের ভিত্তিতে। বিশ্বের এমন কোন দেশ নেই যেখানে পুরুষ অথবা নারীদের একক আধিপত্য রয়েছে। বিশ্বয়ানের এ যুগে নারীরা পুরুষদের সহযোগী হয়ে বিশ্বকে নিয়ে যাচ্ছেন অন্য এক মাত্রায়।
তবে আজ আপনাদের একটি দ্বীপের গল্প শুনাবো যা অনেকেরই অজানা। যেখানে পুরুষ থাকা সত্ত্বেও নারীরা একক আধিপত্য বিস্তার করে এবং দ্বীপটি সব কিছু দেখভাল করে।
ইউরোপের দেশ এস্তোনিয়ার ছোট দ্বীপ ‘কিহনু’। ৬০৪ জন নাগরিকের দ্বীপটিতে মাতৃতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হয় জীবনধারা থেকে শুরু করে কৃষ্টি-কালচার সব কিছুই।
১৬.৩৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দ্বীপটাটির পুরুষরা মৎস্যশিকারি। আর এ জন্যই তারা সমুদ্রে থাকেন মাসের পর মাস। তাই দ্বীপের শাসন ভার থেকে শুরু করে সব কিছু আগলে রাখেন নারীরা।
লেমসি, লিনাকুলা, রুটসিকুলা ও সারে এই চারটি গ্রাম নিয়ে গঠিত নারীদের দ্বীপ কিহনু। প্রতিটি গ্রামের বাসিন্দা নিজেদের ফোক ঐতিহ্য ধারণ করেন। নারীরা সবসময় ঐতিহ্যবাসী কিহনু পোশাক পরিধান করেন।
শুধু নিজেরাই তা করেন না। পরবর্তী প্রজন্মকেও তারা একই শিক্ষা দেন। কিহনুর শিশুরা স্কুলে নিজেদের ভাষা, সংস্কৃতি শেখার পাশাপাশি অধ্যয়ন করে ঐতিহ্যবাসী সঙ্গীত।
কিহনু দ্বীপের সবখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তার নিদর্শন। নিজেদের প্রাচীন ইতিহাস কিহনুর নারীরা যেভাবে ধরে রেখেছেন তাতে মুগ্ধ হয়ে ২০০৩ সালে এই দ্বীপের সংস্কৃতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে