শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৪:২৭:৪৬

জেনে নিন, ক্রিসমাসের অজানা ৭টি তথ্য

জেনে নিন, ক্রিসমাসের অজানা ৭টি তথ্য

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ছোটবেলা থেকে আমরা এই জেনে বড় হই যে, ২৫ ডিসেম্বর হল যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন। ক্রিসমাস ইভ-এ সাজানো ক্রিসমাস ট্রি, মধ্যরাতে গির্জার প্রার্থনা, সান্তার উপহার বিতরণ, ব্রেকফাস্টে পাতে পড়া কেকের স্লাইস আর দুপুরে ব্যাগ গুছিয়ে হয় চিড়িয়াখানা নয় ময়দানে চড়ুইভাতি। ইদানীং লিস্টটা একটু পালটেছে। মাল্টিপ্লেক্স, ফুড কোর্ট আর ব্যাঙের ছাতার মতো কফিশপ ঢুকে পড়েছে। উৎসবের উন্মাদনায় ঢাকা পড়ে যায় ক্রিসমাসের অনেক সত্য। তেমন ৭টি তথ্য রইল নীচে। আদৌ ২৫ ডিসেম্বর জন্ম হয়নি যিশুর : যিশুর জন্ম যে কোন দিন হয়েছিল, তার কোনও ঐতিহাসিক তথ্য-প্রমাণ নেই। যিশুর জন্মবৃত্তান্তের বর্ণনা রয়েছে যে দু’টি গসপেল-এ, সেখানে কোথাও ২৫ ডিসেম্বর তারিখটির উল্লেখ নেই। প্রাচীন পেগান উৎসবই ক্রিসমাস উৎসব : প্রাচীন রোমে একটি লোকজ উৎসব শুরু হত শীতের ক্রান্তীয় দিবস, অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর। প্রায় ১৫ দিন ধরে চলত সেই উৎসব। যিশু মারা যাওয়ার অনেক পরে এই সময়টিকেই বেছে নেওয়া হয় তার জন্মদিন পালনের জন্য। বড়দিন যখন ৬ জানুয়ারি : গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ২৫ ডিসেম্বর ক্রিসমাস হলেও, প্রাচীন জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী যদি ধরা হয়, তবে ৬ জানুয়ারি পড়ে ক্রিসমাস। এখনও পৃথিবীর বহু চার্চ ৬ জানুয়ারি বড়দিন পালন করে। এর মধ্যে রয়েছে অর্থোডক্স এবং আর্মেনিয়ান চার্চ। সান্তা ক্লজ একটি বিজ্ঞাপনী হাইপ : সেন্ট নিকোলাস ছিলেন মধ্যযুগের এক সন্ত, যিনি সত্যিই গোপনে উপহার রেখে আসতেন। কিন্তু এ যুগে যে সান্তা ক্লজ-কে আমরা চিনি তার উদ্ভব উনিশ শতকের একটি বিজ্ঞাপনে। ক্রিসমাস ট্রি এসেছে উনিশ শতক থেকে : ক্রিসমাসের দিন ট্রি সাজানো এবং তার নীচে পুরস্কার রাখার চল শুরু হয় মধ্যযুগ থেকে। মূল ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সঙ্গে এই গাছের কোনও সম্পর্ক নেই। শোনা যায়, মার্টিন লুথার নাকি প্রথম সাজিয়েছিলেন ক্রিসমাস ট্রি। আমেরিকায় ছিল না কোনও ক্রিসমাসের ছুটি : ১৮৭০ সালের আগে মার্কিন মুলুকে ক্রিসমাসে ছিল না কোনও ছুটি। ওকলাহামায় তা ঘটে আরও পরে। ওই মার্কিন স্টেটে বড়দিনের ছুটি ঘোষণা হয় ১৯০৭ সালে। ক্রিসমাস আসলে ক্রাইস্ট্‌স মাস : ক্রিসমাস কথাটি আসলে এসেছে ‘ক্রাইস্টস মাস’ থেকে। মোটামুটিভাবে ষোড়শ শতাব্দী থেকে চালু হয় এই শব্দবন্ধ। ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে