এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি কে না চায়! তবে ভাল কাজ করেই যে এ যুগে পদোন্নতি পা্ওয়া যায়, তা অনেক ক্ষেত্রেই হয় না। এজন্য কাজের পাশাপাশি অবলম্বন করতে হয় বেশ কিছু কৌশল।
সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে, অফিসের বস সবসময় আশা করেন কর্মীরা সময়ের সাশ্রয়ী হোন এবং কর্মশক্তির বলে প্রতিষ্ঠানকে ভালো একটি প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে নিয়ে যাবে। ঝুঁকি ও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে এমন কর্মীর প্রতি নিয়োগকর্তা সন্তুষ্ট থাকেন।
জেনে নেয়া যাক কয়েকটি কৌশল, যা প্রয়োগ করলে আপনি সহজেই জয় করতে পারবেন বসের মন।
১। একাধিক গুণসম্পন্ন কর্মীর প্রতি বসের সুনজর থাকে। স্ব-প্রণোদিত, আত্মবিশ্বাসী এবং কাজের প্রতি উৎসর্গীকৃত কর্মী নিশ্চিত পদোন্নতি লাভ করে।
২। নির্দিষ্ট সময়ের আগে কোনো কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করা মানে প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে কার্যকর ভূমিকা রাখা। কর্মীকে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়, এর ফলে তার উপর প্রতিষ্ঠানের কোনো নেতিবাচক মনোভাব থাকে না। ঝুঁকি নেয়া বলতে ভালো কাজের জন্য প্রশংসার পাশাপাশি কোনো ভুল কাজের জন্য কর্মীর দায়বদ্ধতার ব্যপারটিকেও বোঝায়।
যেমন- বড় কোনো কনফারেন্স বা বসের সঙ্গে সাময়িক মিটিংয়ে কোনো কর্মী কাজের সব তথ্যাদি সম্পর্কে নিজেকে প্রস্তুত করে নিলে তার কাজের প্রতি বসের আস্থা বাড়ে।
৩। নিজের কাজটি করুন এবং ভালোভাবে করুন বসের দেওয়া কাজটি যত্নের সঙ্গে শেষ করুন। কাজটি কঠিন হলেও দেখাতে হবে যে, এটি অব্যাহতভাবে চেষ্টা করা হয়েছে। যেসব কর্মী একটি কাজ ভালোভাবে ধারাবাহিকতার সঙ্গে দক্ষভাবে ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে করতে পারে তারাই বসের মনোযোগ পায়।
৪। বসকে মুগ্ধ করতে দক্ষতাও একটি অপরিহার্য গুণ। কিন্তু সঠিক সময়ে কাজ সম্পন্ন করতে না পারলে এই দক্ষতাকে মূল্যায়ন করা হয় না। উপরন্তু মনে করা হয়, অদক্ষতার জন্যই কর্মী কাজে বিলম্ব করে। দ্রুত কর্মক্ষেত্রে আসা এবং কাঙ্খিত সময়ে কাজ সম্পন্ন করা কর্মীদের অধিক দক্ষ মনে করা হয়।
৫ প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য নতুন নতুন ধারণা দিতে পারলে কর্মীকে কাজে উৎসর্গীকৃত মনে করা হয় এবং নিয়োগকর্তা তার সহজাত সৃজনীশক্তিতে মুগ্ধ হয়।
৬. বসের অগ্রাধিকারকেই নিজের অগ্রাধিকার। মনে করুন আপনার কাজই হচ্ছে বসের কাজের চাহিদা পূরণ করা। মনে রাখতে হবে কর্মক্ষেত্রে কাজ মানেই টিমওয়ার্ক। এবং টিমের প্রধান বস। তাই বস যেভাবে নির্ধারণ করেন, কাজের
অগ্রাধিকারকে সেভাবেই সাজাতে হবে।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এম.এস/একে