সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১০:০৫:২১

বর্ষবরণের আজব রীতি যে সব দেশে

বর্ষবরণের আজব রীতি যে সব দেশে

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বর্ষবরণের প্রস্তুতিতে এতটুকু কমতি নেই বিশ্বজুড়ে! সূর্য ডুবতেই শুরু হয় পার্টি, আতসবাজি, হইহুল্লোড়৷‌ এর মধ্যে বেশ কিছু দেশে বর্ষবরণের রীতি একটু আলাদা৷‌ বেশ মজাদার একটি বিষয় রয়েছে এর মাঝে৷‌ বর্ষবরণ নিয়ে রয়েছে দেশভেদে বেশ কিছু মজাদার সংস্কৃতি যেমন ধরা যাক ফ্রান্সের কথা। বছরের শেষ দিনে ঘরে থাকা সব খাবার শেষ করতেই হবে৷‌ নতুন বছরে ঘরে পুরনো খাবার পড়ে থাকা অশুভ৷‌ সেই খাবারের কারণে সৌভাগ্য ঘরে আসবে না৷‌ তবে ঘরে-থাকা সেই খাবার ফেলে দিলে চলবে না৷‌ খেয়েই শেষ করতে হবে৷‌ নানান খাবারে মশগুল রাত, নতুন ভোর! কিংবা ধরুন প্যারাগুয়ের কথা। সেখানে বছরের শেষ পাঁচদিন তাদের ঘরে কোনও আগুন জ্বলে না৷‌ হয় না কোনও রান্না৷‌ ওই পাঁচদিনকে তারা পালন করে 'ঠান্ডা খাবার খাওয়ার দিন' হিসেবে৷‌ ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২ টার পর নতুন বছরের ঘণ্টা বাজলে শুরু হয় আগুন জ্বালানোর কাজ। আর রান্ন করা হয় নতুন নতুন খাবার, একসঙ্গে খেয়ে নতুন বছরে পা রাখা হবে। কলকাতা ২৪ এর এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়। পোল্যান্ডেও বর্ষবরণটা বেশ মজার৷‌ এখানকার তরুণীরা বর্ষবরণের রাতে খরগোশের মতো পোশাক পরে জড়ো হয়৷‌ এরপর খরগোশের মতো লাফিয়ে লাফিয়ে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি জোগাড়ের পালা৷‌ তারপর ওই শাকসবজির যতটা সম্ভব চিবিয়ে খায়! তাদের ধারণা, শাকসবজি খেয়ে নতুন বছরে পা দিলে নতুন বছরের দিন সুন্দর হবে৷‌ থাকা যাবে সারা বছর শান্তিতে৷‌ আমাদের দেশে হাঁচি নিয়ে আমাদের নানা সংস্কার আছে৷‌ কথার মাঝে হাঁচি পড়লে সেটা 'সত্যি হাঁচি'৷‌ কথাটা সত্যি৷‌ আবার কোথাও বেরনোর সময় হাঁচি পড়ল, তো সেটা অমঙ্গল সূচক৷‌ কিন্তু বুলগেরিয়াবাসীর কাছে বর্ষবরণের দিন হেঁচে ফেলাটা বেশ মঙ্গলের৷‌ বর্ষবরণের দিন তাদের বাড়িতে আসা কোনও অতিথি যদি হেঁচে ফেলেন, তাহলে বাড়ির কর্তা তাকে নিজের খামারে নিয়ে যান৷‌ এরপর হেঁচে-ফেলা ব্যক্তির প্রথম নজর খামারে যে পশুটির ওপর পড়বে, সেই পশুটিকে গৃহকর্তা ওই ব্যক্তিকে উপহার দেন৷‌ ভাগ্য সঙ্গ দিলে অনেক অতিথি ঘোড়াও উপহার হিসেবে পেয়ে থাকেন৷‌ বুলগেরিয়ানদের ধারণা, হেঁচে-ফেলা অতিথি পুরো পরিবারের জন্য সুখ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসবেন৷‌ বছরের শেষ দিন হাঙ্গেরিবাসী হাঁস, মুরগি বা কোনও ধরনের পাখির মাংস খান না৷‌ তাদের মতে, ওই দিন উড়তে পারে, এমন পাখির মাংস খেলে নতুন বছরে জীবন থেকে সব সৌভাগ্য উড়ে যাবে! এর পাশাপাশি, তারা নতুন বছরে পরিচিত বা বন্ধুদের যে উপহার দেন, তাতে চিমনি পরিষ্কার করছেন এমন একজন শ্রমিকের ছবি থাকে৷‌ এর কারণ হিসেবে তাদের ব্যাখ্যা, উপহারে এই ছবিটি থাকলে পুরনো বছরের সমস্ত দুঃখ নতুন বছরে মুছে যাবে৷‌ ভিয়েতনামের উত্তরে কিছু সংখ্যালঘু জাতি রয়েছে, যারা বছরের শেষ দিনে যে জলাধার থেকে প্রতিদিন জল সংগ্রহ করে, সেই জলাধারে দল বেঁধে গিয়ে মোমবাতি জ্বেলে মাটিতে মাথা ছুঁইয়ে প্রণাম করে জলাধার থেকে এক কলসী জল নিয়ে আসে৷‌ এরপর ওই জল দিয়ে বছরের প্রথম দিন রান্না করে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করার পর নিজেরা খায়৷‌ তবে বছরের প্রথম দিনের রান্নায় স্যুপ জাতীয় খাবার থাকা চলবে না৷‌ বছরের প্রথম দিন স্যুপ জাতীয় খাবার খেলে নাকি মাঠের ফসল বন্যায় ভেসে যাবে৷‌ আফ্রিকার মাদাগাস্কারায় নতুন বছর শুরুর সাতদিন আগে থেকে মাংস খাওয়া বন্ধ৷‌ বছরে প্রথম দিন বাড়িতে মুরগির মাংস রান্না হবে৷‌ প্রথমে তা খেতে দেওয়া হবে বাবা-মাকে৷‌ বাবা-মাকে খেতে দেওয়া হয় মুরগির লেজের দিকের অংশটা৷‌ আর ভাই-বোনেদের দেওয়া হয় মুরগির পা৷‌‌ ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে