এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সুবাদে আমাদের জীবনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এইসব প্রযুক্তির সুফল যেমন রয়েছে, তেমনি ঝুকিও রয়েছে। বিমান আমারেদর যোগাযেগ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত করেছে। কিন্তু এর প্রধানতম সমস্যা হল নিরাপত্তা। তবে এবার সেই শঙ্কাও কেটে যাবে বলে সুখবর দিল এক রুশ বিজ্ঞানী। আবিষ্কার হচ্ছে বিমান থেকে যাত্রীবাহী কেবিনের বিচ্ছিন্ন করার ব্যবস্থা। তাতারেঙ্কো ভ্লাদিমির নিকেলোভিচ নামের এক রাশিয়ান উদ্ভাবক এ সপ্তাহে তার এই ধারণার একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রকাশ করেন। তিনি প্রায় তিনবছর ধরে বিমান নিরাপত্তামূলক এই প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছেন।
ভিডিওটিতে তিনি একটি বিমানের যাত্রী অংশের কেবিন মধ্য আকাশে, উড়ার সময় এবং অবতরণের সময় যে কোনো জরুরি অবস্থায় ককপিট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কিভাবে নিরাপদে অবতরণ করতে পারে তা দেখিয়েছেন।
কেবিনটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে প্যারাসুটের সহায়তায় নিরাপদে ভূমিতে অথবা পানিতে অবতরণ করতে পারবে।
এই নকশার স্বত্ত্বাধিকারী তাতারেঙ্কো দি ইন্ডিপেন্ডেন্টকে বলেন, ‘কেবিনটি জরুরি অবস্থায় বিচ্ছিন্ন হবে। যাত্রীদের লাগেজগুলো থাকবে কেবিনের নিচের অংশে, যাতে সেগুলোও নিরাপদ থাকতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি ৯৫ ভাগ নিশ্চিত যদি এই প্রযুক্তি বিমানগুলোতে যুক্ত হয় তবে যাত্রীরা নিরাপত্তার খাতিরে আরো বেশি পরিমাণ অর্থ দিয়ে হলেও এসব বিমানের টিকেট ক্রয় করবে।’
এখন পর্যন্ত সবাই ধারণাটির সাথে একমত হতে পারছেন না। অনেকেই এই প্রযুক্তি কতটা খরচ সাশ্রয়ী, বিমানের গঠনের সাথে উপযোগী এবং কেবিন বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে পাইলটদের অবস্থা কি হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
যদিও এটিই বিমান থেকে কেবিন বিচ্ছিন্নের একমাত্র প্রযুক্তি নয়। ২০১৩ সালে ফরাসি বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাসও এমন একটি প্রযুক্তির পেটেন্টের মালিক হয়েছে।
আপাতদৃষ্টিতে এটাকে সায়েন্স ফিকশন মনে হলেও এয়ারবাসের মত প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে ভাবনাই বলে দিচ্ছে যে বিষয়টি নিযে সিরিয়াসলি ভাবা হচ্ছে।
১৭ জানুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস