শনিবার, ২১ মে, ২০২২, ০৪:৪৮:২২

বিয়ের পর পুরুষের ৫টি অভ্যাস বদলানো খুবই দরকার

বিয়ের পর পুরুষের ৫টি অভ্যাস বদলানো খুবই দরকার

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: জীবনের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বিয়ে। বিয়ের পর পুরুষের কয়েকটি অভ্যাস বদলানো খুবই দরকার। অন্তত আপনার সংসারে যদি আপনি শান্তি বজায় রাখতে চান। 

যদি না চান, আপনার স্ত্রী আপনার উপরে চটে যায়, তবে অভ্যাসগুলো বদলে ফেলা দরকার। পুরুষের ৫টি অভ্যাস নিয়েই বলব, যা না বদলালে সংসারের শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়! জেনে নিন সুখী দাম্পত্যের রহস্য়...

বিয়ে প্রত্যেকের জীবনেই নতুন একটি অধ্যায়ের শুরু। কারণ, এরপর জীবন অনেকটাই বদলে যায়। একদম অন্য়রকমও হয়ে যেতে পারে। তাই প্রথম থেকেই একটা সম্পর্কের যত্ন নিতে হয়। 

স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করেন। এক সময়ে নিজের মধ্যেও পরিবর্তন আনেন। তাঁদের অনেক কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিতেও হয়। যাতে সম্পর্কে ভারসাম্য়, শান্তি ও ভালোবাসা থাকে।

তবে তার মানে এই নয় যে, আপনি নিজেকে সম্পূর্ণ বদলে ফেলবেন। আপনার নিজস্বতা আপনার মধ্যেই থাকবে। কিন্তু ছোট ছোট পরিবর্তন করা যেতেই পারে। 

যেমন, দুজন যদি রেস্তরাঁয় খেতে যাওয়ার প্ল্যান করেন, তবে নিজের পছন্দের জায়গায় যাওয়ার জন্য় জেদ করবেন না। বরং, সঙ্গীর ভালো লাগাকেও গুরুত্ব দিন। 

আপনার স্ত্রী যেরকম জায়গায় যেতে পছন্দ করেন, তা বুঝে রেস্তরাঁ বেছে নিন। একে অপরের অনুভূতিকে সম্মান করুন। পুরুষেরা এমন কিছু কাজ করে ফেলেন, যা তাঁর স্ত্রীকে চটিয়ে দেয়। সম্পর্ক খারাপ হয় এতে। তাই সম্পর্ক শুরু করার আগে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখুন। এই কয়েকটি অভ্যাস বিয়ের পর বদলিয়ে ফেলতেই হবে আপনাকে…

১. বাড়ির বাইরে অনেক্ষণ কাটাবেন না: বিয়ের আগে আপনি বন্ধুদের সঙ্গে অনেকটাই সময় কাটাতেন। বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে, অফিসের পর আড্ডা দিতে সবাই ভালোবাসেন। কিন্তু আপনি বিয়ে করেছেন। একজন নতুন মানুষও আপনার জীবনে এসেছেন। তাঁর ভালো লাগাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। আপনার স্ত্রী হয়তো বাড়িতে আপনার জন্য়ে অপেক্ষা করে আছেন। তাই বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময়সীমা কমিয়ে ফেলুন।

আপনার স্ত্রীর সঙ্গও সময় কাটান। কিংবা আপনার বন্ধুদের আড্ডায় আপনার স্ত্রীকেও কখনও কখনও নিয়ে যেতে পারেন। দেখুন তাঁর কেমন লাগে। বাড়ির বাইরে এতক্ষণ সময় কাটালে স্ত্রী তো আপনার উপরে চটবেই।

২. অনেক মহিলা সঙ্গ: মহিলা বন্ধু সবার থাকেই। তিনি আপনার কলেজের বন্ধু হতে পারেন, আপনার সহকর্মী হতে পারেন। মহিলা বন্ধুর সঙ্গ নিয়ে আপনি খুশি থাকতে পারেন। কিন্তু আপনার স্ত্রী বিষয়টি কীভাবে দেখছেন, তাও লক্ষ্য রাখুন। আপনার বান্ধবীদের সঙ্গে সম্পর্কে একটি সীমারেখা অবশ্য়ই টানবেন।

তাঁদের সঙ্গে অত্য়ন্ত ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রয়োজন নেই। কোনও বান্ধবীর যদি আপনার প্রতি দুর্বলতা থাকে এবং সেই কথা আপনার স্ত্রী জানেন, তবে সেই বান্ধবীর সঙ্গ এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। এতে আপনার সম্পর্ক ঠিক থাকবে। নাহলে বিষয়টি আপনার স্ত্রীকে আঘাত করতে পারে।

৩. বিয়ের আগের অভ্যাস বদলে ফেলুন: আপনি কি জানেন, আপনার স্ত্রী’কে সবথেকে বেশি ভাবায় এই ধরনের অভ্যাস। বিয়ের আগে আপনি এক ধরনের জীবন কাটাতেন। কিন্তু বিয়ের পর সেগুলো শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করুন। এই যে আপনি অফিস থেকে ফিরে জামা-কাপড় এক জায়গায় ছুড়ে ফেলেন, জুতো একদিকে ছুড়ে ফেলে দেন, মোজা কোথায় রাখেন মনে থাকে না, এইসব আপনার স্ত্রীকে মোটেই খুশি করে না।

এছাড়াও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলেই আপনার স্ত্রী খুশি হয়। তাই নিজেকে গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। আপনার স্ত্রীকে সাহায্য় করুন। এতে তিনিও খুশি হবেন।

৪. সব সিদ্ধান্ত একা নেওয়া: বিয়ের আগে আপনি সব সিদ্ধান্ত একাই নিতেন। কারণ, তখন আপনি একা ছিলেন। বিয়ের পর আপনার স্ত্রী আপনার জীবনে এসেছেন। তাঁর জীবনে আপনারও একটি জায়গা আছে। তেমনই আপনার জীবনেও তাঁর সামান্য় অধিকার আছে। দাম্পত্য় মানে একে অপরের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে চলা।

আপনিও তাই করুন। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্য়ই স্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করুন। দুজনে একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিন। দেখবেন সম্পর্ক অনেক সরল হয়ে গিয়েছে।

৫. মায়ের সঙ্গে সব কথা শেয়ার করা: না! এই কাজটি কখনও করবেন না! এমনিতেই শাশুড়ি-বউমার সম্পর্ক অনেক ক্ষেত্রে ভালো হয় না। আপনার স্ত্রীর সঙ্গে যদি আপনার মায়ের সম্পর্ক সেরকম ভালো না হয়, তবে আপনিও একটু বুঝে চলুন। ভালো হলেও কয়েকটি দিক খেয়াল রাখুন। যেমন, আপনার মায়ের সঙ্গে দাম্পত্যের ব্য়ক্তিগত কথা শেয়ার করবেন না।

আপনার স্ত্রীর ব্যাপারে কোনও খারাপ কথা মায়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন না। স্ত্রীর নিন্দা মায়ের কাছে করবেন না। এতে আপনার মায়ের সঙ্গে আপনার স্ত্রীর সম্পর্ক যেমন খারাপ হতে পারে, আবার স্ত্রীর সঙ্গে আপনার সম্পর্কও খারাপ হতে পারে। আপনার স্ত্রী আপনার উপরে বিশ্বাস হারাতে পারেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে