এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: আমরা ঠিকই যেমন কোন মেডিসিন কেনার আগে ভালোমতো তার মেয়াদ তারিখ দেখে নেই আবার এস্কপায়ার হলে ফেলে দেই, তবে দাঁত মাজার ব্রাশের ক্ষেত্রে এমনটা অনেক সময় ভাবি না।
যখন কোনও ওষুধ কেনা হয়, তখন মেয়াদ দেখে কেনাই দস্তুর। এমনকি দাঁতের বারোটা বাজানো চিপ্স কিংবা চকলেট খেতে গেলেও সকলে দেখে নেন মেয়াদ। অথচ দাঁত ভাল রাখতে প্রধান ভরসা দাঁত মাজার ব্রাশ অনেকেই ব্যবহার করতে থাকেন অনন্তকাল ধরে। তা বদলানোর কথা ভাবেন না অনেকেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাঁতের যত্নের জন্য দাঁত মাজার ব্রাশের যত্ন নেওয়াও সমান জরুরি।
১। অধিকাংশ বাড়িতেই প্রত্যেক সদস্যের ব্রাশ একই পাত্রে সাজানো থাকে। এই ভাবে ব্রাশ রাখলে এক জনের ব্রাশ থেকে অন্য জনের ব্রাশে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়। যদি এক পাত্রেই রাখতে হয়, তবে ব্রাশে অবশ্যই ঢাকনা পরিয়ে রাখুন।
২। বেসিনের পাশে কিংবা স্নানঘরে ব্রাশ রাখাও ভাল অভ্যাস নয়। এই ধরনের স্যাঁতসেঁতে ও আর্দ্রতাপূর্ণ আবহাওয়ায় রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও তাই অনেকটাই বেশি।
৩। নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে ব্রাশ। সম্ভব হলে ব্যবহার করার আগে ও পরে উষ্ণ জলে ধুয়ে নিন ব্রাশ। এতে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা কমে অনেকটাই। গরম জলের ব্যবস্থা না থাকলে মাউথ ওয়াশ জাতীয় দ্রবণে মিনিট দুয়েক চুবিয়ে রাখলেও জীবাণুমুক্ত হবে ব্রাশ।
৪। একই ব্রাশ দিনের পর দিন ব্যবহার করা ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিন মাসে অন্তত এক বার বদলাতে হবে ব্রাশ। অনেকে ব্রাশের ডাঁটিগুলি নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও সেই ব্রাশ ব্যবহার করতে থাকেন। যদি ব্রাশের ডাঁটিগুলি বিকৃত হয়ে যায়, তবে সেই ব্রাশ ব্যবহার করা উচিত নয়।