মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৩:৩৮:২২

ভাঙা সিম উধাও হয়ে টাকা গেল ১৪ লাখ

ভাঙা সিম উধাও হয়ে টাকা গেল ১৪ লাখ

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ভাঙা সিম-কার্ড নিয়ে মোবাইল স্টোরে গেল এক ব্যক্তি৷ নতুন সিম কার্ড নেয়ার সময় ওই ব্যক্তি যে মোবাইল নম্বর বললেন, সেটি যদিও তার নয়৷ যে নম্বর উল্লেখ করলেন তিনি, সেই নম্বরের অধিকারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গেল ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা৷

নিগম সোনি নামে এক ব্যবসায়ীও একইভাবে তাজ্জব বনে গিয়েছিলেন তার মোবাইলটি আচমকা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর৷ মোবাইল চালু করার পর জানতে পারলেন, তার অজান্তে তারই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গেছে প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ টাকা৷

নিগমের অ্যাকাউন্ট থেকে যে চক্র ওই টাকা উধাও করে নিয়েছিল, তার সঙ্গে জড়িত তিন অভিযুক্তকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা৷

বিশেষ অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) পল্লবকান্তি ঘোষ এ দিন জানান, ধৃতেদর নাম সন্তোষ বন্দ্যোপাধ্যায়, সন্তোষ সাউ ও দীনেশ শেট্টি৷ এ দিন আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৭ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন৷ তবে এ চক্রের হোতা যে নাইজিরীয় ব্যক্তি, তার হদিস এখনো পায়নি পুলিশ৷

কীভাবে হলো সাইবার-প্রতারণা?

পুলিশ জানায়, একটি ভাঙা সিম-কার্ড নিয়ে মোবাইল স্টোরে গিয়েছিলেন সন্তোষ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ভাঙা সিমের পরিবর্তে নতুন সিম চেয়েছিলেন তিনি। স্টোরের কর্তব্যরত কর্মী যখন তাকে নতুন সিমটি দিলেন, তখন নিজের মোবাইল নম্বরের বদলে নিগমের নম্বর বলেছিলেন তিনি৷

নিগম যদিও এসব কিছুই জানতেন না৷ ওই সিম 'নকল' নিগম অর্থাত্‍ সন্তোষের মোবাইলে 'ইনসার্ট' করতেই 'আসল' নিগমের মোবাইল গেল বন্ধ হয়ে৷ পরদিন সিম রি-অ্যাক্টিভেট করানোর পরই তার মোবাইলে মেসেজ এল, আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা তোলা হয়েছে৷

আকাশ থেকে পড়লেন নিগম! কীভাবে ব্যাংকের গোপন তথ্য জানাজানি হলো? বিশেষ অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) জানান, সন্তোষরা নিগমের মতো অন্তত ১০ জনকে 'ফিশিং মেল' পাঠিয়েছিল৷ সেই মেলের উত্তর দেয়ার সময়ই নিজের মোবাইল নম্বর থেকে শুরু করে ব্যাঙ্কের খুঁটিনাটি জানিয়েছিলেন নিগম৷

সেই সুযোগেই ভাঙা সিমের গল্প শুনিয়ে নিগমের মোবাইলের সিম নিজের মোবাইলে অ্যাক্টিভেট করে নিয়েছিল সন্তোষ৷ যতক্ষণ ডি-অ্যাক্টিভেট ছিল নিগমের ফোন, ততক্ষণে তার অ্যাকাউন্ট থেকে ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা তুলে চারটি নতুন অ্যাকাউন্ট খুলেছিল ওই চক্র৷

'ফিশিং মেল'-এর উত্তরে যেসব তথ্য জানিয়েছিলেন নিগম, সেগুলোর ভিত্তিতেই জাল নথি তৈরি করে ওই চারটি অ্যাকাউন্ট 'ওপেন' করা হয়েছিল৷ ভোপালের একটি অ্যাকাউন্টে ৮ লাখ টাকা ডিপোজিট, বড়বাজারের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে নগদ ও চেকের সাহায্যে টাকা উইথড্র ও তিন লাখ টাকার সোনা কেনা--সবই হয়েছিল ওই সাড়ে ১৪ লাখের বিনিময়ে৷

২৬ জুন 'ভাঙা' সিমের গল্প বলেছিল সন্তোষ৷ আর ২৭ জুন সাড়ে ১৪ লাখ খুইয়ে 'ফিশিং মেল'-এর উত্তরদাতা নিগম দ্বারস্থ হয়েছিলেন পুলিশের৷ সূত্র : এই সময়
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে