শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৪:৪৯:২৪

মুদির বাজার থেকে পোশাক-ওষুধ, সবকিছুই করা লাগে বিমানে চড়ে!

মুদির বাজার থেকে পোশাক-ওষুধ, সবকিছুই করা লাগে বিমানে চড়ে!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: ২৫ বছর বয়সী সেলিনা অ্যালসওয়ার্থ। সেলিনা বসবাস করেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিম আলাস্কার পোর্ট অ্যালসওয়ার্থে। যেখানে মাত্র ২০০ জনের বসবাস। আদমশুমারির পরিসংখ্যান এই তথ্যই দিয়েছে। আলাস্কার প্রত্যন্ত অংশে সেলিনার জীবনযাপন সত্যিই অন্য রকম এবং সংগ্রামী। 

টিকটকে তার অনুসারীদের সংখ্যা তিন লাখ ৪০ হাজার। তিনি প্রায়ই এই এলাকার সৌন্দর্য তার অনুসারীদের জন্য শেয়ার করেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে জীবনযাপন কেমন, সেটা নিয়েও ভিডিও দেন। চারদিকে অপার সৌন্দর্য থাকলেও এখানে বসবাস করা কিন্তু খুব সহজ নয়। মুদির বাজার থেকে পোশাক-ওষুধ, সবকিছুই করা লাগে বিমানে চড়ে!

সেলিনার নামে কোনো চিঠি এলে, সেটাও আসে ছোট বিমানে চড়ে। যাকে বলা হয় ‘এয়ার ট্যাক্সি’। শুধু তাই নয়, বাজার করার জন্য এক ঘণ্টা ছোট বিমানে চড়ে যেতে হয় বাজারে। ১৬০ মাইল পাড়ি দিয়ে যেতে হয় নিকটতম মুদি দোকানে। 

তিনি প্রতি তিন বা চার মাস পর পর একটি বড় মুদি দোকানে যান। তবে তাজা পণ্য পাওয়া খুব কষ্টের। আবহাওয়া খারাপ হলে তো কথাই নেই। তখন কেনা তাজা খাবার অনেক সময় বাড়ি আসতে এক সপ্তাহ সময় লেগে যায়। কাজেই বাসি খাবার খেতে হয়। খাবারের দামও বেশি। 

এ জন্য সেলিনা কলা কিনলে কাঁচাটাই বেশি কেনেন। কারণ এতে করে আস্তে আস্তে পাকে। এ ছাড়া টিনজাত খাবারই বেশি কেনা হয়। এই টিনজাত খাবারটাই তার বেশি প্রয়োজন। এ ছাড়া ভুট্টা, দুধ, ফল, ফ্রোজেন ফুড ইত্যাদি কিনে থাকেন। 

সেলিনা বলেন, যেখানে সবাই বাজার করে গাড়িতে বাড়ি ফেরে, সেখানে আমাকে ছোট বিমানে করে বাড়ি ফিরতে হয়। বাজার নিয়ে বাড়ি ফেরার খরচ অনেক সময় বেড়েও যায়। আবার এমনও সময় আসে, যখন কেনা পণ্যগুলো বিমানে নেওয়ার জায়গাও মেলে না। তখন বাকি পণ্যগুলো অন্য ফ্লাইটে আসে।

সেলিনা তার পারিবারিক পর্যটন ব্যবসা এবং খামারে কাজ করেন। শীতকালে এয়ার ট্যাক্সি পরিষেবাতেও কাজ করেন। ইটসি শপ নামের একটি অনলাইন বিক্রয় মাধ্যমে তিনি আলাস্কার বিভিন্ন উপহারসামগ্রী বিক্রি করেন। সূত্র : নিউ ইয়র্ক পোস্ট

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে