বুধবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৬, ১২:৪৩:২০

সেই ‘রহস্য ঘড়ি’র নতুন বিপদসংকেত, ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৃথিবী!

সেই ‘রহস্য ঘড়ি’র নতুন বিপদসংকেত, ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৃথিবী!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : আবারও নতুন বিপদসংকেত দিয়েছে সেই ‘রহস্য ঘড়ি’। এর নির্মাতা বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবী ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এ খবর দিয়েছে পরমাণু বিজ্ঞান বিষয়ক বুলেটিন।

মঙ্গলবার তারা ঘোষণা করেছনে, প্রতীকী ঘড়িটিতে মধ্যরাত আসতে আর ৩ মিনিট বাকি। এখানে, মধ্যরাত বলতে কেয়ামত বোঝানো হয়েছে।

পরমাণু অস্ত্র, জলবায়ু পরিবর্তন এবং নতুন নতুন প্রযুক্তি পৃথিবীকে ক্রমেই অরক্ষিত করে ফেলছে বলে রূপক ঘড়িটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে।


বুলেটিনের চেয়ারম্যান লরেন্স ক্রাউস বলেন, ইরানের পরমাণু চুক্তি এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বিশ্বের জন্য সুসংবাদ। তবে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি, উত্তর কোরিয়ার হাউড্রোজেন বোমা পরীক্ষা এবং জলবায়ু চুক্তির অকার্যকারিতা ক্রমেই পৃথিবীকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।


বুলেটিনের বিজ্ঞানীরা গত বছর প্রতীকী ঘড়ির মিনিটের কাঁটা মধ্যরাত থেকে ৫ মিনিটের পরিবর্তে ৩ মিনিটে এনেছেন। এবছরও মধ্যরাত থেকে ৩ মিনিট দূরে থাকবে ঘড়িটি। ১৯৮৩ সালের পর এটাই মধ্যরাতের সবচেয়ে নিকটবর্তী সময়।


পরমাণু বিজ্ঞানীদের বুলেটিন ১৯৪৫ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বিজ্ঞানী প্রতিষ্ঠা করেন। এই বিজ্ঞানীরাই বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক বোমা তৈরি করেছিলেন।


ঘড়ির সময় নির্ধারণ করেন বুলেটিনের বিজ্ঞান ও নিরাপত্তা বোর্ড। এই বোর্ড পদার্থবিদ, পরিবেশ বিজ্ঞানীসহ ১৬ জন নোবেল পুরস্কার জয়ী বিজ্ঞানীর সমন্বয়ে গঠিত।


১৯৫৩ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা করার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র একটি হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা করায় ‘কেয়ামতের ঘড়ি’তে মিনিটের কাঁটা মধ্যরাতের সবচেয়ে নিকটবর্তী ২ মিনিটে নিয়ে আসা হয়েছিল।


১৯৯১ সালে ঠান্ডা যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে মিনিটের কাঁটা মধ্যরাত থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী ১৭ মিনিটে স্থাপন করা হয়েছিল। -আলজাজিরা
২৭ জানুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে