সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩, ১১:৪১:৩৯

জেনে নিন কীভাবে ডিম খেলে ওজন কমে ও পুষ্টি মেলে

জেনে নিন কীভাবে ডিম খেলে ওজন কমে ও পুষ্টি মেলে

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : গবেষণায় পুষ্টি উপাদানের ক্ষেত্রে  দেখা গেছে, প্রতিদিন একটি করে ডিম খেলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমতে পারে। ডিম থেকে শারীরিক উপকার পেতে হলে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করতে হবে। পাওয়ার হাউস ডিম। প্রাকৃতিকভাবে যেসব খাবারে সবচেয়ে বেশি পুষ্টিকর উপাদান পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হলো ডিম। 

বেশিরভাগ ডাক্তারই স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় ডিম রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। বিভিন্ন ধরনের খাদ্যগুণ রয়েছে ডিমে। প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, ফসফরাস, আয়রন, জিংক, ম্যাঙ্গানিজসহ সব উন্নত পুষ্টি উপাদান থাকায় ডিমের গুরুত্ব অনেক। পেশির গঠনের জন্য ডিম অত্যন্ত উপযোগী। পেশি সুস্থ সবল রাখতে হলে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন প্রয়োজন শরীরে।

আমাদের আশেপাশে প্রতিনিয়ত ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ারা ঘোরাঘুরি করছে। চোখে দেখা যায় না এমন ক্ষতিকারক এই ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়াই শরীরের বেশিরভাগ রোগের পেছনে দায়ী। এদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য শরীরে শক্ত-সামর্থ্য রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দরকার। তাছাড়া গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে ডিম খেলে স্মৃতিশক্তির উন্নতি হয়। মস্তিষ্ক সচল রাখতে সহায়তা করে ডিম।

অনেকেই চর্বি জমে যাওয়ার ডিম খেতে চান না। যেহেতু ডিমের কুসুমে অধিক মাত্রায় কোলেস্টেরল থাকে, তাই ধারণা করা হয়, যাদের হার্ট ডিজিজ রয়েছে এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, তাদের জন্য ডিমের কুসুম ক্ষতিকর।

বর্তমানে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এটি প্রমাণিত হয়েছে, ডিমের কুসুম থেকে যে কোলেস্টরেল পাওয়া যায়, তা রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় না। ডিমে ফলেট, কোলিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, লেটিইন এবং জি-অ্যাকজানথাইন থাকে। অনেকেই কুসুম ছাড়া ডিম খান কিন্তু কুসুমসহ ডিম ক্ষতিকর নয়।

ডিমকে ভাল রাখতে তা ফ্রিজে রাখুন। ডিম বাক্সের ভেতরে থাকলে ডিমের সাদা অংশ তিন সপ্তাহ পর্যন্ত ভাল থাকে। কিন্তু ডিমের কুসুম ভাল থাকে তিনদিন। বরফে হিমায়িত অবস্থায় ডিমের সাদা ও কুসুম ভাল থাকে তিন মাস পর্যন্ত। ডিম খাওয়া গর্ভবতী মা, শিশু, কিশোর, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য উপকারি। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিমের সঙ্গে এমন অনেক খাবার একসঙ্গে খেলেই হতে পারে বিপদ। যেমন কলা, মধু, লেবু, টক দই ভুলেও খাবেন না ডিম খাওয়ার পরে। ডিম রান্নার ব্যাপারে সবচেয়ে সহজ, পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত হল ডিম সিদ্ধ করে খাওয়া। বেশিরভাগ পুষ্টিবিদদের মতে, ডিমের ওমলেট না করে খাবার পরামর্শ দেন কারণ ডিম যে তেলে ভাজা হয়, তার মধ্যেকার স্যাচুরেটেড ফ্যাট কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে