এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : গরমের ফলের মধ্যে লিচু অন্যতম। রসে ভরপুর এ ফলটি কেবল পাওয়া যায় গরমের এ সময়ই। লাল দানাদার শক্ত আবরণে মাংসালো সাদা রঙের মিষ্টি এ ফলটি কমবেশি সবারই পছন্দের। এর বিচির অংশ বাদে সবটুকুই খাওয়া যায়।
তবে ইতিহাস ঘাঁটলে লিচুর আদিনিবাস পাওয়া যায় চীন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়াতে। চীনে আনুমানিক ২০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পুরোনো ফল বলে উল্লেখ করা হয় লিচুকে। লিচুর রয়েছে নানা জাত। তবে পুষ্টিগুণ আর কার্যকারিতার দিক থেকে লিচুর রয়েছে লম্বা তালিকা।
লিচুতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ফ্ল্যাভনয়েড, ফাইবার এবং প্রোটিন। এছাড়া আরও আছে ক্যালরি, কার্বোহাইড্রেড, ফ্যাট এবং মিনারেল। অন্যদিকে লিচুতে আরও আছে ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রন। যাদের হৃদরোগের ঝুঁকি আছে তাদের ক্ষেত্রে শরীরের কপার কিংবা তামার পরিমাণ বাড়াতে লিচু বেশ কার্যকর। এছাড়া ক্যানসার কিংবা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতেও মৌসুমি এ ফলটি খুবই উপকারী।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও বেশ কার্যকর। এ ফলটি আপনার শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়ায় ধীরে ধীরে। যাতে করে ক্ষতিকারক জীবাণু বাসা বাঁধতে না পারে শরীরে। এর আঁশ হজমের ক্রিয়া সচল রাখতে সহায়তা করে পাশাপাশি গ্যাস্ট্রিক এবং পরিপাকতন্ত্রের জন্যও বেশ কার্যকর।
যাদের উচ্চরক্তচাপ এবং ত্বকে ব্রণের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে লিচু এক উপকারী ফল। লিচুতে থাকা ভিটামিন সি এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবেও কাজ করে। এর বাইরে যারা ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা নিশ্চিন্তে খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন গ্রীষ্মের এ মিষ্টি ফলটি।