এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বয়স ১০২ কিন্তু এ বয়সেই করলেন ডক্টরেট ডিগ্রি। এমন অভাবনীয় ঘটনাই ঘটতে চলেছে শ্রীমতীর বেলায়। আগামী সপ্তাহে হামবুর্গ ইউনিভার্সিটি ওই জার্মান মহিলাকে ডক্টরেট দিয়ে সম্মানিত করবে।
জানা গেছে, বার্লিনের এই মেডিক্যাল প্রফেসর তিন বছর আগেই কর্মজীবন থেকে অবসর নেন। ১৯৩৮ সালে করা ডিপথেরিয়া নিয়ে তার গবেষণার জন্যই এই ডক্টেরট। কিন্তু ইহুদি হওয়ার কারণে সেসময় তাকে ডক্টরেট দেয়া হয়নি।
ইহুদি বোঝাতে তার পরীক্ষার ফর্মে হলুদ কালি দিয়ে চিহ্নিত করে দেয়া হয়। কারণ এই গবেষকের মা ছিলেন ইহুদি। ফলে মৌখিক পরীক্ষায় শেষ পর্যন্ত তাকে ডাকা হয়নি।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টাইমসের খবর অনুযায়ী, গত বছর ওই বৃদ্ধা গবেষকের ছেলে টম হামবুর্গ ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মায়ের ডক্টরেট ডিগ্রির বিষয়টি বিবেচনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে তার মা মৌখিক পরীক্ষায় বসতে রাজি আছেন বলেও জানান টম। সেই মতো বার্লিনে নিজের ফ্ল্যাটে বসে মৌখিক পরীক্ষা দেন ওই বৃদ্ধা। হামবুর্গ ইউনিভার্সিটির মেডিসিন বিভাগের ডিন উই কচ গ্রোমাস তার মৌখিক পরীক্ষা নেন। অভিভূত ডিনের প্রতিক্রিয়া, ভাবা যায় না, এ বয়সেও তিনি তার বিষয় সম্পর্কে খোঁজ-খবর রেখেছেন।
১৯৩৮-এ ডক্টেরট আটকে যাওয়ায়, ক্ষোভে আমেরিকায় চলে গিয়েছিলেন শ্রীমতী। পকেটে কানাকড়িও ছিল না। চরম আর্থিক কষ্টে ছিলেন। ১৯৫০ সাল পর্যন্ত সেখানেই ডাক্তারি করেছেন। এর মধ্যেই ১৯৪৪ সালে জার্মান নাগরিক স্যামুয়েল মিত্জার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। পরে তিনি জার্মানিতে ফিরে আসেন।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে সবথেকে বেশি বয়সে ডক্টরেট পাওয়ার রেকর্ড এতদিন ছিল ৯৭। সেই রেকর্ড ভেঙে নয়া নজির গড়তে চলেছেন জার্মানির এই বৃদ্ধা। ৯ জুন শ্রীমতী Rapoport-কে আনুষ্ঠানিকভাবে ডক্টেরট উপাধি দেয়া হবে।