এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: আবারো আলোচনায় উঠেছে অবিশ্বাস্য ব্যয় বহুল বিয়ে হিসেবে খ্যাত ব্রুনাইয়ের সুলতানের ছেলের বিয়ের খবরটি । সম্প্র্তি এই বিয়ের খবরটি সারা বিশ্বে তোলপাড়ের সৃষ্টি করেছে। তোলপাড় কেন হবে না? কারণ বিয়েতে কণের জুতো থেকে শুরু করে অতিথিদের বসতে দেয়ার চেয়ার পর্যন্ত সবকিছুই যে খাঁটি স্বর্ণের। ধনি এই দেশটির রাজার ছেলের বিয়েতে ব্যবহৃত হয়েছে শত শত ভরি সোনা, খরচ হয়েছে কোটি কোটি টাকা।
বর আব্দুল মালেক এবং আইটি বিশেষজ্ঞ কনে দায়াংকু রাবিয়াতুল আদাওইয়াহ পেনগ্রিয়ান হাজি বলকিয়ার ঐ বিয়েতে যেমনটা আয়োজন ছিল-
অতিথি যারা ছিলেন: ৬ হাজার গণ্যমান্য অতিথি উপস্থিত ছিলেন বিয়েতে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের পাশাপাশি বেশ কিছু দেশের রাজা-রানিরাও ছিলেন সেখানে।
হীরে-চুনি-পান্নাখচিত সোনার জুতো: কনের জুতোটাও সাধারণ কোনো জুতো ছিলনা। মহামূ্ল্যবান সব পাথরে খচিত জুতোটিও সোনার তৈরি। শুধু কি সোনা তাতে হীরে-চুনিও ছিল।
ফুলের তোড়া: আজকাল ফুলের তোড়া কাগজের ফুল দিয়েও হয় – এটা সবাই জানেন। কিন্তু সোনার ফুল দিয়েও যে হয় তা কি জানেন? এক অতিথি ঐ বিয়েতে সত্যি সত্যি স্বর্ণের তৈরি তোড়া উপহার হিসিবে দিয়েছেন কনেকে।
সুলতানের দোয়া: বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় প্রত্যক্ষভাবেই অংশ নিয়েছেন সুলতান হাসানাল বলকিয়াহ। ছেলে আব্দুল মালিক যাতে সব আনুষ্ঠানিকতা ঠিকভাবে পালন করতে পারেন তা কাছ থেকেই দেখেছেন তিনি।
অতিথি আপ্যায়ন: বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে খাওয়া-দাওয়ায় ছিলএলাহি কাণ্ড৷ মেনুতে কী কী ছিল তা শুনলে যে সবাই বিস্মিত হবেন তা বলাই বাহুল্য। ৬ হাজার রাজকীয় অতিথির জন্য স্মরণীয় করে রাখার মতো সব কিছুই পরিবেশিত হয়েছে ভোজন অনুষ্ঠানে। সবচেয়ে উল্লেখ করার মতো জিনিস হলো অতিথিদের খাওয়ার টেবিল থেকে শুরু করে চেয়ার এমনকি প্লেট পর্যন্ত ছিল খাঁটি সোনার।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাজপ্রাসাদ: বিয়ের মূল অনুষ্ঠানটি হয়েছে ইস্তানা নুরাল ইমান প্রাসাদে। ব্রুনাইয়ের রাজধানী বন্দর সেরি বেগাওয়ানের এই প্রাসাদে রয়েছে ১ হাজার ৭৮৮টি কক্ষ, বিশাল বিশাল স্নানাগার আছে ২৫৭টি আর সুইমিং পুল ৫টি।