এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সব দাম্পত্যজীবনই যে সুখের হয় তা কিন্তু নয়। সুখের পাশাপাশি কিছু কিছু দুঃখও থাকে এই সম্পর্কে। আবার সংসার করতে গিয়ে প্রতারণার স্বীকার হন অনেকেই। এমন ঘটনা বিরল নয়।
এক্ষেত্রে যে কেবল নারীরা প্রতারণা করেন তা কিন্তু নয়। পুরুষেরাও পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে থাকেন। যার ফলে সংসারে প্রথমে অশান্তি শুরু হয়, পরবর্তীতে তা বিচ্ছেদে গড়ায়।
আমাদের আশেপাশেই এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যেখানে দেখা গেছে যে, স্বামী গোপনে অন্য জীবন যাপন করছেন। তিনি হতে পারেন একজন জু'য়া'ড়ি, হতে পারে গোপনে আরেকটি বিয়ে করেছেন, গোপনে হয়তো সংসারও চালিয়ে যাচ্ছেন, হতে পারে সে অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন।
কিন্তু আপনার কাছে এসব গোপন রাখছেন। এমন অবস্থায় আপনি কীভাবে বুঝতে পারবেন যে, স্বামী কিছু গোপন করছেন? চলুন জেনে নেয়া যাক স্বামী কিছু গোপন করছে কিনা তা বুঝার পাঁচটি লক্ষণ-
১. সব সময় গোপনীয়তা রক্ষা করে : বলছি না যে সম্পর্কে সবকিছুই তুলে ধরতে হবে বা আড়াল রাখা যাবে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিছু গোপনীয়তা সম্পর্কে শান্তি বজায় রাখে। তবে সেই গোপনীয়তা যেন অপরজনের সঙ্গে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ কিংবা তার অধিকার ক্ষুণ্ন করে না হয়।
তাই খেয়াল করুন আপনার স্বামী আপনাকে সব সময়ই কিছু গোপন করে যাচ্ছেন কি না। যখন আপনি তার ফোনের কাছে থাকেন তখন কি তার মুখের অভিব্যক্তির পরিবর্তন হয়? তিনি তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট, ক্রেডিট কার্ড স্টেটমেন্ট ইত্যাদি আপনার কাছ থেকে গোপন রাখেন? তার বাবা-মা বা বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হলেও কি তিনি কিছু আড়াল করার চেষ্টা করেন?
২. ভুলে যাওয়ার ভান করা : টুকিটাকি বিষয় ভুলে যাওয়া অস্বাভাবিক নয় কিন্তু সুস্থ একজন মানুষ একটি বিষয় পুরোটাই ভুলে যাবেন এটি স্বাভাবিক নয়। আপনি কোনো প্রশ্ন করলে তিনি যদি সবটাই ভুলে যাওয়ার ভান করেন তবে সতর্ক হোন। হতে পারে তিনি ভয়াবহ কোনো সত্যি গোপন করে চলেছেন।
তবে এসব একা একা ভেবে নিজের মনের শান্তি নষ্ট করবেন না। যেকোনো বিষয়ে সন্দেহ হলে বা জানতে ইচ্ছা হলে তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলুন।
৩. বারবার মিটিং এবং ভ্রমণ : চাকরির ক্ষেত্রে প্রয়োজনে বিভিন্ন জায়গায় তিনি ভ্রমণ করতেই পারেন। তবে খেয়াল করুন তিনি মাসের মধ্যে কতবার ভ্রমণের অজুহাতে বাসা ছাড়ছেন? স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হলেই নিশ্চিন্ত থাকার উপায় নেই। অন্তত খোঁজ নিয়ে দেখুন তিনি কতটা সত্যি বলছেন।
কারণ মিটিং কিংবা অফিসের প্রয়োজনে ভ্রমণের অজুহাত তার জন্য একটি বড় সুযোগ হতে পারে। তার মধ্যে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করলেই সতর্ক হোন। তবে অযথা সন্দেহ করে সংসারে অশান্তি বাড়াবেন না।
৪. সরাসরি উত্তর না দেওয়া : আপনি সরাসরি তাকে কোনো প্রশ্ন করেছেন কিন্তু তিনি ঘুরিয়ে-পেচিয়ে উত্তর দিয়েছেন, এমনটা হলে সতর্ক হোন। হতে পারে আপনার প্রশ্ন শুনে তিনি বারবার এড়িয়ে যাচ্ছেন।
এই ছোট ছোট বিষয়গুলো খেয়াল করুন। তার এ ধরনের আচরণ দেখেও না দেখার ভান করে থাকবেন না। হতে পারে তিনি আপনার কাছ থেকে কিছু লুকাচ্ছেন। তাই সম্পর্ক ভালো রাখার স্বার্থে তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলুন।
৫. আপনাকেই অপরাধী করছে কি? : এটি তার প্রতিরক্ষার আরেক উপায়। তিনি ভুল করলেও বিষয়টি এমনভাবে উল্টে দেবেন যেন আপনিই অপরাধী। তিনি তার অপরাধ লুকানোর জন্য আপনার কোনো দুর্বলতাকে ব্যবহার করতে পারেন।
এরকমটা দেখলে জেদী ও দৃঢ় হোন। তারা যেন সত্যিটা না লুকাতে পারেন সেজন্য সরাসরি তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন। দেখবেন, তার চোখের সঙ্গে মুখের ভাষা মিলছে না।