এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ভারত গ্রীষ্ম প্রধান দেশ হওয়ায় বছরের অধিকাংশ সময়ই মানুষ গরমে হাঁসফাঁস করে। এই সময় নলকূপের ঠান্ডা জল পান করলে একপ্রকার শান্তি পাওয়া যায়।
অন্যদিকে শীতকালে যখন কনকনে ঠান্ডায় আমরা কাঁপতে থাকি, তখন নলকূপ দিয়ে গরম জল বের হয়। আপনিও নিশ্চয়ই এই ব্যাপারটা লক্ষ্য করেছেন, কিন্তু কখনো ভেবেছেন কী গ্রীষ্মকালে ঠান্ডা ও শীতকালে গরম জল বের হয় কেন?
শীতকালে বা গ্রীষ্মকালে জলের উষ্ণতার পার্থক্য হওয়ার পিছনে একটি বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে। প্রথমেই জানিয়ে রাখি, মাটির ভেতরের ভূগর্ভস্থ জলের তাপমাত্রায় কোনো প্রভাব পড়ে না। ভূগর্ভস্থ জলের তাপমাত্রা সবসময় একই থাকে। তাহলে এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, গ্রীষ্মকালে জল ঠান্ডা অথচ শীতকালে গরম হয় কেন?
আসলে, শীতকালে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ভূগর্ভস্থ জলের চেয়ে কিছুটা কম থাকে। একইভাবে গ্রীষ্মকালে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ভূগর্ভস্থ জলের চেয়ে অনেকটাই বেশি থাকে। যে কারণে শীতকালে নলকূপের জল গরম এবং গ্রীষ্মকালে আমরা ঠান্ডা জল অনুভব করি।
বৈজ্ঞানিকদের মতে এর পিছনে কিছু ভিন্ন তথ্য দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে মাটির অভ্যন্তরে সর্বনিম্ন পৃষ্ঠে গরম লাভা রয়েছে এবং যখন ভূগর্ভস্থ জল এটির উপর দিয়ে যায় তখন তা গরম হয়ে যায়।
এমন কিছু এলাকা আছে যেখানে মাটি থেকে গরম জল বের হয়। যেমন বক্রেশ্বরের উষ্ণ প্রস্রবণ। এছাড়াও বিশ্বের নানান জায়গায় গরম জল বের হতে দেখা যায়।
গবেষণায় জানা গেছে, পৃথিবী পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিজ্ঞানীদের মতে, শীত বা গ্রীষ্মকালে নলকূপ থেকে বের হওয়া ঠান্ডা বা গরম জল শুধুমাত্র আমাদের শরীর অনুভব করে। আসলে সেই জল ঠান্ডা বা গরম বের হয় না। এটা সম্পূর্ণভাবে আমাদের শরীর এবং তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে।