এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : আপনি কি প্রতিদিন সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন? এরপর কোনোরকম মুখ-হাত ধুয়ে এক কামড় টোস্ট খেয়ে তৈরি হয়ে বের হয়ে যাচ্ছেন? এরকমটা মাঝে মাঝে হতে পারে, যদি সব সময়ই এই রুটিনে চলেন তবে তা আপনার জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠবে।
সকালে স্বাস্থ্যকর রুটিন মেনে চলতে হবে। আর সেজন্য খুব বেশি সময়ও লাগবে না। এতে দিনের বাকি অংশ আপনি খুব সুন্দরভাবে কাজে লাগাতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক সকালে কোন ৫টি কাজ আপনাকে করতেই হবে-
১. ঘুম থেকে ওঠার পর প্রাকৃতিক আলোতে দাঁড়ান
ঘুম ভাঙার পরে মোবাইল ফোনের নীলচে আলোতে আপনার চোখজোড়া খুলবেন না। সকালের আলোতে আপনার চোখ খুলতে চাইলে ফোনটি দূরে রাখুন এবং বাইরে যান। সকালে সূর্যালোকের সংস্পর্শে এলে তা আপনার শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘুমের ঘড়ি পুনরায় সেট করতে সাহায্য করে।
সকালে উজ্জ্বল আলোতে দাঁড়ানোর অভ্যাস আপনাকে দিনের বেলা আরও উজ্জীবিত রাখবে। সূর্যের আলো আমাদের শরীরে সেরোটোনিনের উৎপাদন বাড়ায়, যা রাতে মেলাটোনিন তৈরির জন্য প্রয়োজন। এটি আপনাকে রাতে সময়মতো ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করবে।
২. ধ্যান করুন
ডাক্তারের মতে ধ্যান মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্ণতা কমাতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে এই অভ্যাস স্মৃতিশক্তি, মানসিক সচেতনতা, একাগ্রতা এবং সামগ্রিক প্রশান্তি বাড়িয়ে দেয়। ধ্যানকে আপনার সকালের রুটিনের একটি অংশ করে নিন, প্রতিদিন ২০ মিনিটের জন্য হলেও ধ্যান করুন। এটি জটিল কোনো অনুশীলন হবে না এবং ধ্যান করার কোনো একক উপায়ও নেই। আপনি বিভিন্নভাবে চেষ্টা করতে পারেন এবং আপনার জন্য কী কাজ করে তা দেখতে পারেন।
৩. ব্যায়াম করুন
নিয়মিত ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের চাবিকাঠি। আপনি একটি স্বাস্থ্যকর ওয়ার্কআউট রুটিন তৈরি করুন। এর মধ্যে থাকতে পারে হাঁটা বা সাইকেল চালানো। যোগব্যায়াম অন্তহীন স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে আসে। এছাড়া আপনার শরীরের জন্য উপযোগী অন্যান্য ব্যায়াম বেছে নিতে পারেন। এতে পরিবর্তনটা আপনি নিজেই টের পাবেন।
৪. লো-গ্লাইসেমিক ব্রেকফাস্ট খান
এর মানে হলো সকালে এমন খাবার খাওয়া যাতে প্রোটিন বেশি এবং স্টার্চ কম। বিশেষজ্ঞের মতে, এটি সারাদিনের জন্য আপনার রক্তে শর্করাকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে। এর মধ্যে রয়েছে দানা শস্য যেমন রোলড বা স্টিল-কাট ওটস, আপেল, কমলা, বেরি, পীচ, নাশপাতি এবং বরই। দুধ এবং দই দুর্দান্ত লো-গ্লাইসেমিক খাবার। শিম, ছোলা, মসুর ডাল এবং চিনাবাদামও খেতে পারেন।