এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ডায়াবেটিসের মতো কঠিন রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ওষুধ তো খান কিন্তু সেইসঙ্গে যদি প্রতিদিন নিয়ম করে মাত্র চারটি যোগব্যায়ামের অভ্যাস করতে পারেন তাহলে সুফল পাবেনই। ভিড়তে পারবে না এই পিচলে রোগটি। চারটি যোগব্যায়াম হলো-
বৃক্ষাসন
পদ্ধতি: প্রথমে শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়ান। এখন হাত দু'টো নমস্কারের ভঙ্গিতে বুকের কাছে রাখুন কিংবা নমস্কারের ভঙ্গিমায় রেখে মাথার উপরে তুলুন যেন হাত কানের সঙ্গে লেগে থাকে। এবার ডান পা উঠিয়ে বাঁ পায়ের উরুতে রাখুন। পায়ের পাতার নিচের দিকটা উরুর সঙ্গে লেগে থাকবে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ২০ থেকে ৩০সেকেন্ড এ অবস্থায় থাকুন। এরপর ডান পা নামিয়ে একইভাবে বাঁ পা উঠিয়ে আসনটি আবার করুন। এভাবে পা বদল করে করে আসনটি ছ'বার থেকে আটবার অভ্যাস করুন।
উপকারিতা: প্যানক্রিয়া থেকে হরমোনের নিঃসরণ বাড়াতে সাহায্য করে।
ধনুরাসন
পদ্ধতি : উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। পা দু'টো হাঁটুর কাছ থেকে ভেঙে পায়ের পাতা যতদূর সম্ভব পিঠের উপর নিয়ে আসুন। এবার হাত দু'টো পেছনদিকে ঘুরিয়ে নিয়ে দু'হাত দিয়ে দু'পায়ের ঠিক গোড়ালির উপরে শক্ত করে ধরুন এবং পা দু'টো যতদূর সম্ভব মাথার দিকে টেনে আনুন। বুক, হাঁটু ও উরু মেঝে থেকে উঠে আসবে। শুধু পেট ও তলপেট মেঝেতে থাকবে। এবার উপরদিকে তাকান। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে এবং ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড এই অবস্থায় থাকুন। এরপর হাত-পা আলগা করে আস্তে আস্তে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। একটু বিশ্রাম নিয়ে আসনটি ২-৩ বার করুন।
উপকারিতা : তলপেটের উপর দেহের সমস্ত ভার পড়ে বলে ওই অঞ্চলের পেশী, স্নায়ুজাল সবল ও সক্রিয় থাকে এবং পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদন্ত্র, প্লীহা, যকৃৎ খুব ভালো কাজ করে। আসনটি অভ্যাসে দেহের মধ্যভাগের অপ্রয়োজনীয় মেদ দূর হয়, মনের চঞ্চলতা দূর করে এবং স্বভাবে ধৈর্য্য বৃদ্ধি করে।
হলাসন
পদ্ধতি : প্রথমে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত দুটো শরীরের দু'পাশে তালু উপুড় করে রাখুন। এবার দু’পা জোড় করে মাটির ওপরে তুলুন। এরপর দু’পা জোড় রেখে মাটি থেকে শরীরটা তুলে পা দুটো মাথার পেছনে রাখুন। এভাবে কিছু দিন চেষ্টা করার পরপা দুটো জোড় অবস্থায় সম্পূর্ণরূপে মাথার পেছনে নিয়ে দুপায়ের বুড়ো আঙুল দিয়ে মেঝে স্পর্শ করুন।
উপকারিতা : প্যানক্রিয়া, প্লীহা এবং শরীরের ইমিউন সিস্টেম ভালো রাখে এই আসন।
অর্ধ মত্সেন্দ্রাসন
পদ্ধতি : একটি ম্যাটের উপর বসে সামনের দিকে পা সোজা করুন। ডান পা ভাঁজ করুন। ডান পায়ের গোঁড়ালি যেন বাঁ পায়ের হাঁটু ছুঁয়ে থাকে। ডান হাত কোমরের পিছনের দিকে নিয়ে যান। হাতের তালু পিছন দিকে মাটিতে থাকবে। বাঁ হাত ডান হাঁটুর উপর থেকে ক্রস করে ডান পায়ের গোঁড়ালি ধরুন। মাথা ঘুরিয়ে ডান কাঁধের ওপর দিয়ে সোজা পেছনে তাকান।
উপকারিতা : এই আসন নিয়মিত করলে কিডনি, প্যানক্রিয়া, ক্ষুদ্রান্ত্র, গল ব্লাডার এবং লিভার ভালো থাকে। শরীর থেকে টক্নিন বেরিয়ে যায় এবং হজমশক্তি ভালো হয়। যারা ডায়াবেটিসের রোগী তাদের জন্য এই আসন খুবই উপকারী। সূত্র : এই সময়
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/