মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৫:০৭:৫৫

জমজমের পানির রহস্য আবিষ্কার জাপানি বিজ্ঞানীর!

জমজমের পানির রহস্য আবিষ্কার জাপানি বিজ্ঞানীর!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বিজ্ঞানের সূচনালগ্নের অনেক পরে জমজমের পানি সম্পর্কে নতুন রহস্য প্রকাশ করেছে এবং এটা কিভাবে গৌরবময় কোরআনের আয়াত দ্বারা প্রভাবিত হয়।  আপনি আশ্চর্য হবেন! আমরা সাম্প্রতিককালে মাদুলীর বা তাবিজের ব্যবহারের মূল্য বুঝতে সমর্থ হয়েছি।  

এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, পানযোগ্য পানির উপরে যা পাঠ করা হয় তা দ্বারা কিভাবে প্রভাবিত হয়।  জাপানের বিজ্ঞানী মাশারো ইমোটোর একটি অনন্য অভিজ্ঞতা হয়েছিল।

তিনি বলেছিলেন যে, তিনি একটি বইতে পড়েছেন যে, আকাশ থেকে পড়া তুষার কনা হচ্ছে অনন্য।  তিনি বলেছেন যে, তার বৈজ্ঞানিক অনুভূতি তাকে বলেছিল যে, এটা সত্য হতে পারে না।  তুষার কনার জ্যামেতিক আকার এর রাসায়নিক গঠন দ্বারা নির্ধারিত হয়।  

ওই বিজ্ঞানী বলেছিলেন যে, পানির গঠন সুপরিচিত।  দুইটি হাইড্রোজেন পরমাণু ও একটি অক্সিজেন পরমাণু দ্বারা এটা গঠিত হয়।  তাই আকাশ থেকে পড়া তুষার কনাগুলো একে অন্যের থেকে আলাদা কিভাবে হতে পারে? তিনি বলেছেন, আমি দৃঢ় মানসিকতাবদ্ধ ছিলাম যে, এই তত্ত্বকে কিভাবে ভুল প্রমাণিত করব।  

তিনি একটি গবেষণাগার তৈরি করেছিলেন যাতে একটি রেগুলেটরসহ একটি ডিপ ফ্রিজার ছিল।  যেহেতু কোনো তরল পদার্থ যদি হঠাৎ করে জমাটবদ্ধ করা হয় তাহলে একটি জ্যামেতিক আকার গ্রহণ করতে পারে না।

জমাট বাধা অবশ্যই ধীরে হতে হবে যাতে করে পরমাণুগুলো বিধাতা দ্বারা নির্ধারিত আকারে স্ফটিকায়ন হবার সুযোগ লাভ করে।  একটি রেগুলেটরসহ একটি ডিপ ফ্রিজার ছিল।  মাইনাস (-৭ ) ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় একটি ঠাণ্ডা কক্ষ এবং ক্যামেরা দ্বারা সুসজ্জিত কতগুলো অনুবীক্ষণ যন্ত্র ছিল যাতে করে তুষার কনা গলে যাওয়ার আগে এগুলোর আলোকচিত্র গ্রহণ করা যায়।

বিজ্ঞানীরা এই কক্ষে গরম কাপড় পরে কাজ করা শুরু করে।  তিনি বলেছিলেন, আমি গবেষণাগারে দুইটি নলের থেকে নমুনা নিয়েছিলাম, আমি এদেরকে জমাট করি এবং প্রতিটি নমুনা আমাকে একটি আলাদা তুষার কনা দিয়েছিল।

নমুনাগুলো দুইটি আলাদা কূপের থেকে, দুইটি আলাদা নদীর থেকে এবং দুইটি আলাদা হ্রদের থেকে গ্রহণ করেছিলাম।  আমি পাগল হয়ে গেছিলাম এবং ভেবেছিলাম এটি একটি যাদুমন্ত্র।

টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়নরত একজন সৌদি ছাত্রের সাথে তার হঠাৎ করে দেখা হয় এবং তাকে জিজ্ঞাসা করে কি ভুল হয়েছে।  মাশারো তাকে তার সমস্যা সম্পর্কে বলে।  ছাত্রটি তাকে বলে যে, আমাদের আশীর্বাদপুষ্ট পানি আছে যাকে জমজমের পানি বলে।

আমি আপনাকে এই পানির একটি নমুনা দেব যাতে করে আপনি এর ওপর পরীক্ষা চালাতে পারেন।  জমজমের পানি যাদুমন্ত্র বা জীন দ্বারা প্রভাবিত হয় না, তাই এটা ব্যবহার করা হলে এটা সমগ্র তত্ত্ব প্রমাণ বা মিথ্যা সাব্যস্ত করবে।

ইমোটো জমজমের পানির একটি নমুনা নিলেন এবং বললেন, আমি এটাকে স্ফটিকায়ন করতে পারি নি, এমনকি পর্যন্ত পানিটি ১০০০ ভাগ পাতলা করার পরেও।  অন্য কথায় তিনি ১ ঘন সেন্টিমিটিারকে ১ লিটারে রূপান্তর করেন।

তিনি বলেন যে, তিনি যখন পানিটি ১০০০ ভাগ পাতলা করেন এবং জমাটবদ্ধ করেন তিনি তখন একটি অনবদ্য আকারের স্ফটিক লাভ করেন।  দুইটি স্ফটিক গঠিক হয় একটি অপরটির উপরে কিন্তু এগুলো একটি অনন্য আকার গ্রহণ করে।

যখন তিনি তার মুসলিম সহকর্মীকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন দুটো স্ফটিক হলো? তিনি তাকে বলেন যে, যেহেতু জমজম দুইটি শব্দ দ্বারা গঠিত, “জম এবং জম”।  মাশারো ইমোটো বলেন, আমার মুসলিম সহকর্মী পানির ওপর কোরআনের আয়াত পাঠ করার প্রস্তাব দেয়।

সে একটি টেপ রেকর্ডার নিয়ে আসে এবং কতগুলো কোরআনের আয়াত বাজায় এবং আমরা সবচাইতে নিখুঁত আকৃতির স্ফটিক লাভ করি।  তারপর সে আল্লাহ (সর্বশক্তিমান) এর ৯৯টি নাম বাজায়।  প্রতিটি নাম একটি অনবদ্ধ আকারের স্ফটিক তৈরি করে।  

যখন ডাক্তার ইমোটো এসব পরীক্ষা সম্পন্ন করেন যা ১৫ বছর স্থায়ী হয়েছিল, তিনি একটি ৫ খণ্ডের বই নির্মাণ করেন, যার নাম হচ্ছে ‌‘পানির থেকে বার্তা’।  তিনি লেখেন, আমি প্রমাণ করেছি যে পানি, ওই বিশেষ তরলটি চিন্তা করার, মাপার, বোধ করার, উত্তেজিত হওয়ার এবং নিজেকে প্রকাশ করার ক্ষমতা রাখে।

ডাক্তার মাশারো ইমোটো নিম্নোক্তভাবে লিখেছেন, জমজম পানির গুণ/বিশুদ্ধতা এই পৃথিবীর অন্য কোথাও পানিতে এর যে গুণ আছে তা পাওয়া যাবে না।  তিনি নানো নামের প্রযুক্তি ব্যবহার করেন এবং জমজম পানির ওপর প্রচুর গবেষণা করেন এবং দেখতে পান যে, যদি জমজম পানির ফোটা নিয়মিত পানির ১০০০ ফোটাতেও মিশ্রিত হয় তবুও নিয়মিত পানি জমজম পানির মত সমান গুণ লাভ করবে।

তিনি আরো দেখতে পান যে, জমজম পানির এক ফোটাতে একটি খনিজ পদার্থের এর নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে যা এই পৃথিবীর অন্য কোনো পানিতে পাওয়া যাবে না।  তিনি কিছু পরীক্ষাতে দেখতে পান যে, জমজম পানির গুণ বা উপকরণ পরিবর্তন করা যায় না, কেন, বিজ্ঞান এর কারণ জানে না।

এমনকী তিনি জমজম পানির পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করেন কিন্তু কোনো পরিবর্তন হয়নি, এটা বিশুদ্ধ ছিল।  এই বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেন যে, মুসলমানরা খাওয়া বা পান করার আগে বিস্‌মিল্লাহ বলে।  তিনি বলেন যে, নিয়মিত পানিতে বিস্‌মিল্লাহ বলা হলে এর ফলে নিয়মিত পানির গুণে কতগুলো অদ্ভুত পরিবর্তন ঘটে।

এর ফলে এটা সবোর্ত্তম পানি হয়।  তিনি আরো দেখতে পান যে, যদি নিয়মিত পানির ওপর কোরআন পাঠ করা হয় তা হলে এটা বিভিন্ন ব্যাধি চিকিৎসার জন্য ক্ষমতা লাভ করে।  সুবহানাল্লাহ! নিশ্চয় আল্লাহর এটা একটি কুদরত।  জমজম পানি পর্যায় ভূ-পৃষ্ঠের প্রায় ১০.৬ ফুট নিচে এটা আল্লাহর কুদরত যে, জমজম ক্রমাগত প্রতি সেকেন্ডে ৮০০০ লিটার হারে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে পাম্প করা হয়, তখন পানির পর্যায় ভূ-পৃষ্ঠের প্রায় ৪৪ ফুট নিচে নেমে যায়।

কিন্তু যখন পাম্প করা বন্ধ করা হয় তখন পর্যায় দ্রুত ১১ মিনিট পরে আবার ১৩ ফুট উচ্চতায় ফিরে আসে।  প্রতি সেকেন্ড ৮০০০ লিটার অর্থ হল ৮০০০ x ৬০ = ৪,৮০,০০০ লিটার প্রতি মিনিটে, প্রতি মিনিটে ৪,৮০,০০০ লিটারের অর্থ হল ৪,৮০,০০০ x ৬০ = ২৮.৮ মিলিয়ন লিটার প্রতি ঘণ্টায় এবং প্রতি ঘণ্টায় ২৮.৮ মিলিয়ন লিটার মানে হচ্ছে ২৮৮০০০০০ x ২৪ = ৬৯১.২ মিলিয়ন লিটার প্রতিদিনে।

তাই তারা ২৪ ঘন্টায় ৬৯০ মিলিয়ন লিটার জমজম পানি পাম্প করে কিন্তু এটা কেবলমাত্র ১১ মিনিটে আবার পূর্ণ হয়।  এখানে দুইটা কুদরত আছে, প্রথমটি হলো জমজম দ্রুত পুনর্ভর্তি হয় এবং দ্বিতীয় হলো আল্লাহ অসামান্য শক্তিশালী একুফার ধারণ করেন, যা কূপের বাইরে কোনো অতিরিক্ত জমজম পানি নিক্ষেপ করে না।  অন্যথায় পৃথিবী ডুবে যেত।

আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন যে, আমরা তাড়াতাড়ি তাদেরকে বিশ্ব ভ্রমান্ডে আমাদের চিহ্ন দেখাব এবং তাদের নিজস্ব আত্মায় আমাদের চিহ্ন দেখাব, যতক্ষণ না পর্যন্ত এটা তাদের কাছে পরিষ্কার হয় যে, এটা হচ্ছে সত্য।  এটা কি আপনার প্রভু সম্পর্কে যথেষ্ট না যে, তিনি সব জিনিসের উপরে একজন স্বাক্ষী? (৪১:৫৩)! ইন্টারনেট
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে