সৃষ্টিকর্তার কুদরতি কূপ, জমজমের পানি নিয়ে সুখবর
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ ও ওমরাহ পালন করতে যান সৌদিতে। হজ ও ওমরাহ পালন শেষে সঙ্গে আনেন মহান আল্লাহ তা’য়ালার কুদরতি জমজম কূপের পানি। এই পানি নিয়ে হাজীদের একটু ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবার সুখবর দিয়েছে।
কুদরতি পানি আনতে অনেকে সমস্যায় পড়েন। এখন থেকে জমজমের পানি নিয়ে আর কোনো সমস্যা বা ভাবনায় পড়তে হবে না। তাদের জন্য সুখবর হচ্ছে, পবিত্র জমজমের পানি হাজীদের আর বহন করে আনতে হবে না। সংশ্লিষ্ট বিমান কর্তৃপক্ষই বিমানবন্দরে হাজীদের জন্য জমজমের পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবেন।
আগ্রহীরা সেখান থেকেই জমজমের পানি নিতে পারবেন। জানা গেছে, জমজমের পানি নিতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অনেক সময় দালালদের খপ্পরে পড়তে হয়। অবৈধ পানি বিক্রেতারা এই পানির সঙ্গে সাধারণ পানি মিশিয়ে অতিরিক্ত দামে তা বিক্রি করে থাকেন।
সে কারণে দেশটির বিমানবন্দরগুলোতে জমজমের পানি বিক্রি বন্ধ করতে কিং আবদুল্লাহ প্রকল্পের অধীনে ন্যাশনাল ওয়াটার কোম্পানি এ ব্যবস্থা চালু করেছে। প্রতিষ্ঠানটি জমজমের প্যাকেজজাত পানি সরবরাহও বন্ধ করতে যাচ্ছে।
সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তবে এবার থেকে জমজমের পানি সংগ্রহ করতে হলে পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে। পাসপোর্ট ছাড়া কোনো হজযাত্রীকেই জমজমের পানি সরবরাহ করা হবে না।
সৌদি আরবের প্রভাবশালী পত্রিকা আরব নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সৌদির এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের নিয়মানুযায়ী হজ ও ওমরাহ যাত্রীরা দেশে আসার সময় ৫ লিটারের বোতলজাত পানি আনতে পারবেন।
এ জন্য তাদের পাসপোর্ট দেখাতে হবে। প্রতি পাসপোর্টে একজন ব্যক্তি এক বোতল পানি আনতে পারবেন। অবশ্য এর আগে একজন হজযাত্রী ১০ লিটার করে পানি সংগ্রহ করতে পারতেন। ৫ লিটারের বোতলজাত পানির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ রিয়াল।
উল্লেখ্য, জমজমের পানি শুধু তৃষ্ণাই মিটায় না, এর মধ্যে রয়েছে ক্ষুধা দূর যোগ্যতা। জমজমের পানি মানুষের শরীরের স্বস্তিও প্রবৃদ্ধি করে এবং হজমে সহাক হিসেবেও কাজ করে।
জমজমের পানির বাহ্যিক বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ পানি পরিপূর্ণ জীবাণু মুক্ত। জমজম কূপের আরো একটি অন্যতম অসাধারণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এ থেকে লাখ লাখ লিটার পানি উঠালেও এর পানিতে কখনো স্বল্পতা বা শূন্যতা দেখা যায় না।
জমজম কূপ হচ্ছে মহান আল্লাহ্ তা'য়ালারই একটি কুদরতি নিদর্শন। হজ করতে যাওয়া হাজীগণ প্রতিবছর লাখ লাখ টন পানি পান করেন এবং সাথে নিয়েও আসেন। কিন্তু কোনোদিন পানি ফুরিয়ে যায়নি বা শুকিয়ে যায়নি। এ কথা একেবারেই স্পষ্ট সত্য যে, জমজম কূপ পৃথিবীর মানুষের জন্য বিশেষ করে হাজীদের জন্য আল্লাহর এক অপূর্ব নিয়ামত, অশেষ রহমত ও বরকতময় উপহার।
২২ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস