মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৬:১১:০৭

যে ৯ কারণে বুঝবেন শুরুতেই আপনার দাম্পত্য দুর্বিসহ

যে ৯ কারণে বুঝবেন শুরুতেই আপনার দাম্পত্য দুর্বিসহ

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: বিয়ে বিষয়টি থেকে সহজে নিস্তার নেই। অতএব মুখে রুমাল দিয়ে কবুল বলা অথবা গলায় গামছা দিয়ে ছাতনাতলায় বসলেই হবে। তারপরের অভিজ্ঞতা? কারও কাছে মধুর তো কারও কাছে দুর্বিসহ। আপনি কি বিয়ে করে সুখি? না, এই ব্যক্তিগত প্রশ্নটির জবাব চাওয়া নিতান্তই অনধিকার চর্চা। তাই আপনাকে উত্তর দিতে হবে না। কয়েকটি লক্ষণ থেকে সহজেই বুঝে যাওয়া যায়, বিয়ের শুরু থেকেই আপানাদের দাম্পত্য সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে, নাকি একেবারেই ঘেঁটে গিয়েছে সব। বিশেষজ্ঞদের মতে কী সেই লক্ষণগুলি জেনে নেওয়া যাক।

১. পছন্দে পার্থক্য। অনেক সময় দম্পতির পছন্দ একে অপরের সঙ্গে মেলে না। সোজা কথায় বলতে গেলে, রুচির মিল হয় না। সেক্ষেত্রে বিয়ের প্রথম দিন থেকেই সম্পর্কে ক্ষয় শুরু হয়। বোঝা যায় না সহজে। পরবর্তীকালে হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায়। কারণ একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ সমস্যা শুরু হয় প্রথম থেকেই। ধরুন আপনি বলিউডের সিনেমার ভক্ত। আপনার স্ত্রী কিংবা স্বামীর ওই বিষয়ে কোনও আগ্রহই নেই। ফলে Communication problem তৈরি হয়।

২. গাঁটছড়া বাঁধার পর থেকেই হয়তো আপনি স্ত্রী বা স্বামীকে অনেকটা সময় দিচ্ছেন। কিন্তু এর পরেও মাঝে মাঝে জীবনে তার কেটে যায়, যা আপনি সহজে টের পান না। এক সময় সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। অনেক ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তি তাঁর বন্ধুদের বেশি সময় দেওয়া শুরু করলে, আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর মনে হিংসা দানা বাঁধতে থাকে। মনের গভীরে সেই হিংসা আপনি প্রথমে বুঝতেও পারেন না। বা হয়তো কোনও বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময় এমন একটি কথা বলেছেন, যা আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর মনে সন্দেহ সৃষ্টি করেছে। এই অবস্থা থেকেই ধীরে ধীরে বিশ্বাসে চিড় ধরা শুরু হয়।

৩. রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েও আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর ব্যবহার দেখে চটজলদি বুঝতে পারবেন, বৈবাহিক জীবন ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছে, নাকি সব কিছুই ঠিক আছে। কী ভাবে? লক্ষ্য করুন রেস্তোরাঁয় ওয়েটারের সঙ্গে তিনি কী রকম ব্যবহার করছেন। যদি দেখেন ওয়েটারের সঙ্গে খুব বাজে ব্যবহার করছেন, বা তাচ্ছিল্যের সুরে কথা বলছেন, তাহলে কিন্তু সজাগ হন। যিনি ভালো মানুষ হন, তিনি প্রত্যেকের সঙ্গেই ভালো ব্যবহার করার চেষ্টা করেন।

৪. আপনার স্ত্রী বা স্বামী যদি দেখেন কখনওই আপনার সঙ্গে ভবিষ্যতের আর্থিক পরিকল্পনার ব্যাপারে কথা বলতে চাইছেন না, তাহলে কিন্তু সাবধান হওয়াই বাঞ্ছনীয়। কারণ অচিরেই তা তিক্ততার দিকে এগোয়।

৫. যৌনতা দাম্পত্যের একটি অন্যতম অংশ হলেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নয়। বলছেন বিশেষজ্ঞরাই। তাঁদের বক্তব্য, যৌনতাই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার একমাত্র মাপকাঠি নয়। ছোটাখাটো সুখ-দুঃখে আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী কতটা আপনার সঙ্গে সম্পৃক্ত, তা লক্ষ্য করা দরকার। আপোশ করার ক্ষমতা সেক্ষেত্রে একটা বড় ভঊমিকা নেয়।

৬. বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীর কোনও সম্পর্কই পারফেক্ট হয় না। অনেক সময় দেখা যায় আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী আপনাকে মাঝে মাঝে সকলের সামনে বা একান্তেই এমন কিছু বলছেন, যাতে আপনি অপমানিত বোধ করেন। কিন্তু এরকম করার পরেই যখনই আপনি রেগে যান, তিনি আপনার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। এই ধরনের অভ্যাস থাকলে ধীরে ধীরে পাল্টে ফেলাই বুদ্ধিমানের কাজ।। কারণ এক সময় সত্যিই অপমানিত বোধ করেন আপনার স্ত্রী বা স্বামী। যার নিট ফল, সম্পর্কে ক্ষত।

৭. এটা ঠিক যে, জীবনে সব কিছু পরিকল্পনামাফিক হয় না। আবার এটাও ঠিক, কিছু পরিকল্পনা অতিপ্রয়োজনীয়। তারই মধ্যে অন্যতম হল, কেরিয়ার। সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে যদি আপনি বোঝাতে না পারেন, আপনার পেশাগত জীবনে ভবিষ্যত্‍ সাফল্যের পরিকল্পনা, তখন অনেক ক্ষেত্রে আপনার জীবনের লক্ষ্য নিয়ে সঙ্গী বা সঙ্গিনীর মধ্যে একটা বিরূপ ভাব তৈরি হয়। তিনি নিজেকে আপনার সঙ্গে খুব একটা নিরাপদ বোধ করেন না।

৮. আপনার আত্মীয়-পরিজন বা বন্ধুমহলে অনেকেই আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য করতে পারেন। কারণ আপনার স্বামী বা স্ত্রী সবার কাছে প্রিয় নাও হতে পারে। বিশেষ করে আত্মীয়রা আপনার সঙ্গীর কিছু খারাপ দিক নানা ছলনায় আপনার সামনে মেলে ধরার চেষ্টা করতে পারেন। খুব সতর্ক থাকবেন এবং লক্ষ করবেন এক্ষেত্রে আপনার স্বামী বা স্ত্রীর থেকে কী রকম প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন। তিক্ত হলে, লক্ষ্যণ ভালো নয়।

৯. আপনি যেমন, তেমনই ভালো। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে স্বভাবে কিছু পরিবর্তন দরকার হয় ঠিকই। কিন্তু যদি দেখেন, আপনার সঙ্গী বারবার আপনাকে নানা বিষয়ে বদলাতে বলেন, তাহলে কিন্তু সতর্ক থাকবেন। এক্ষেত্রে সঙ্গী বা সঙ্গিনীর আপনার উপর ছড়ি ঘোরানোর একটা প্রবণতা আছে।
সূত্র : ইন্ডিয়াটাইমস
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে