এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের কটসওল্ডসের একটি পার্কে প্রথমবারের মতো জন্ম নিয়েছে ক্যাসোওয়ারি পাখির ছানা। বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে বিপজ্জনক পাখিগুলোর মধ্যে অন্যতম এই প্রজাতির পাখি।
ইংল্যান্ডের গ্লুচেস্টারশায়ারের বোর্টন-অন-দ্য-ওয়াটারে অবস্থিত বার্ডল্যান্ড পার্কের কর্মীরা ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই প্রজাতির পাখির কৃত্রিম প্রজননের চেষ্টা করে আসছিলেন।
চলতি বছর ইউরোপে চতুর্থবারের মতো ক্যাসোওয়ারি পাখির ডিম ফুটে ছানার জন্ম হলো। এর আগে যুক্তরাজ্যে ২০২১ সালে জন্ম হয় এই পাখির ছানা। ২০২১ সালের আগে যুক্তরাজ্যে ক্যাসোওয়ারির প্রজনন তুলনামূলকভাবে বিরল ঘটনাই ছিল।
পার্কের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা অ্যালিস্টেয়ার কিন বলেন, ‘আমরা যখন ছোট ছানাটির আগমনের প্রথম আভাস পেয়েছিলাম সেটি ছিল সত্যিই একটি বিশেষ মুহূর্ত। বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক পাখিদের একটি হিসেবে উড়তে সক্ষম দৈত্যাকার এই প্রজাতির পাখির কুখ্যাতি রয়েছে।
আকার, গতি ও ছুরির মতো তীক্ষ এবং প্রায় ১০ সেন্টিমিটার লম্বা নখর মিলিয়ে এই প্রজাতির পাখির সম্মিলিত শক্তির বিষয় মাথায় রেখে আমাদের ছানাটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখাশোনা করতে হবে।’
ইমুর মতো আকারে বিশাল এই পাখির আবাসস্থল নিউ গিনি এবং উত্তর অস্ট্রেলিয়ার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বনাঞ্চলে।
শক্তিশালী পা, তীক্ষ নখযুক্ত থাবা এবং আক্রান্ত হলে আগ্রাসী আচরণের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক পাখির তকমা পেয়েছে ক্যাসোওয়ারি। এমনকি এই প্রজাতির পাখির আক্রমণে মানুষের মৃত্যুর নজিরও রয়েছে।
২০১৯ সালেই নিজের পোষা ক্যাসোওয়ারির আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৭৫ বছর বয়সী ফ্লোরিডার বাসিন্দা মারভিন হোজাস।
সদ্য জন্ম হওয়া ক্যাসোওয়ারি ছানার গর্বিত বাবা-মাকে পার্কটিতে আনা হয়েছিল নেদারল্যান্ডস ও জার্মানি থেকে। ইউরোপীয় বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী নিয়ে একটি কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২০১২ সালে পাখি দুটিকে বার্ডল্যান্ডে আনা হয়। সূত্র : বিবিসি