এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : পৃথিবীতে ভয়ংকর সব সাপের রাজত্ব। কিছু কিছু সাপ দেখেতে খুব ভয়ংকর হলেও এদের বিষ খুব শক্তিশালী নয়। আবার কিছু সাপ দেখতে সুন্দর বা গোবেচারা টাইপের হলেও আসলে সে মারাত্মক বিষধর।
একেক সাপের বিষের আবার একেক ধরন। কোনেটা শক্তিশালী, কোনোটা মৃদু, কোনোটা মধ্যম মানের। কিন্তু আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় কোন সাপের বিষ সবচেয়ে শক্তিশালী?
একেক জন হয় একেক উত্তর দেবেন–কেউ বলবেন রাজ খোগরা, কেউ বলবেন ব্ল্যাক মাম্বার কথা, কারও ভোট আবার রাসেল ভাইপারের বাক্সে পড়বে। আসলে এগুলোর কোনোটিই পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপ নয়।
তাহলে কোনটা? সবচেয়ে বিষধর সাপের নাম ইনল্যান্ড তাইপান। এর বাস অস্ট্রেলিয়ার মরুভূমি ও বনাঞ্চলে।
এই সাপকে কেন পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপ বলা হচ্ছে?
কারণ এই বিষের তীব্রতা। ইনল্যান্ড তাইপান সাপের বিষ পৃথিবীর অন্য যেকোনো সাপের বিষ থেকে প্রায় কমপক্ষে পঞ্চাশ গুণ শক্তিশালী। এক কামড়ে এই সাপ যতটুকু বিষ প্রয়োগ করে, তা এক শ মানুষকে মারতে সক্ষম।
এর বিষ দ্রুত রক্তনালী ও পেশী ক্ষতিগ্রস্ত করে। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই এই সাপে কামড়ানো রোগি মারা যেতে পারে।
ইনল্যান্ড তাইপান সাপের। এরা সাধারণত মানুষকে এড়িয়ে চলে। লোকালয় থেকে বহদূরে মরুভূমি ও গভীর বনে এদের বসবাস।
তাই মানুষকে কামড়ানোর রেকর্ড বিরল। এরা ইঁদুর, খরগোশ, গিরগিটির মতো ছোট ছোট প্রাণীকে শিকার করে।
মানুষকে এড়িয়ে চললেও, নিজেদের বিপন্ন মনে করলে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে। ভুল করে সাপকে পা দিয়ে মাড়িয়ে দিলেও এরা মানুষকে কামড়াতে পারে।
ইনল্যান্ড তাইপান সাপের বিষে থাকা টক্সিনগুলি স্নায়ু, রক্তপ্রবাহ এবং পেশীকে একসঙ্গে আক্রমণ করে। দ্রুত শরীরের স্নায়ুব্যবস্থাকে অকার্যকর করে দেয়, ফলে শ্বাসকষ্ট, পেশী কুঁচকে যাওয়া এবং রক্তচাপের পতন ঘটে। সময়মতো চিকিৎসা দিতে না পারলে মৃত্যু নিশ্চিত। তাই, বিশ্বের সবচেয়ে বিষধর সাপটি থেকে যত দূরে থাকবেন, ততো ভালো। সূত্র: হাউ ইট ওয়ার্কস