এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মোটরসাইকেলে দুই ধরনের ব্রেকিং সিস্টেম থাকে। একটি ডিস্ক ব্রেক। অন্যটি ড্রাম ব্রেক। ১২৫ সিসির বাইকের জন্য কোনটা ভালো? অনেকেই এই প্রশ্নটা করেন। কিন্তু এককথায় এর উত্তর হয় না। দুই ধরনের ব্রেকেরই কিছু নিজস্ব সুবিধা এবং সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই চালকের রাইডিং স্টাইল, প্রয়োজন এবং বাজেটের উপর নির্ভর করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
টু-হুইলার বিশেষজ্ঞরা বলেন, ডিস্ক ব্রেক এবং ড্রাম ব্রেক, দুটোই ভালো। তবে সব পরিস্থিতিতেই যে দুটো সমান কার্যকর হবে, তা নয়। তাহলে ফারাক কোথায়? এখানে ডিস্ক ব্রেক এবং ড্রাম ব্রেকের তুল্যমূল্য আলোচনা করা হল। ১২৫ সিসি-এর বাইকের জন্য কোনটা ভালো হবে, এটা দেখে সেই সিদ্ধান্ত সহজেই নিতে পারবেন চালকরা।
ব্রেকিং পাওয়ার থেকে শুরু করে সুরক্ষা, ডিস্ক ব্রেকে বেশি মেলে। তবে খরচও তুলনামূলকভাবে বেশি। একে একে দেখে নেওয়া যাক।
ব্রেকিং পাওয়ার – ডিস্ক ব্রেকের ব্রেকিং পাওয়ার বেশি। দ্রুত কাজ করে। যারা হাই স্পিডে গাড়ি চালান, তাদের জন্য ডিস্ক ব্রেকই আদর্শ।
নিয়ন্ত্রণ এবং সুরক্ষা – বাইকে ডিস্ক ব্রেক থাকলে চালক অনেক বেশি সুরক্ষিত থাকেন। কারণ এটা দ্রুত বাইক থামাতে সাহায্য করে। ব্যাপক যানজট বা আচমকা বাইক থামানোর মতো পরিস্থিতিতে ডিস্ক ব্রেকের জুড়ি নেই।
রক্ষণাবেক্ষণ – ডিস্ক ব্রেকের নিয়মিত দেখভাল প্রয়োজন। ড্রাম ব্রেকের তুলনায় খরচ সাপেক্ষ।
পারফরম্যান্স – ভেজা বা পিচ্ছিল রাস্তায় ডিস্ক ব্রেক অতুলনীয়। কারণ ডিক্স ব্রেককে এভাবেই ডিজাইন করা হয়েছে।
ড্রাম ব্রেক
ড্রাম ব্রেক ধীরে-সুস্থে কাজ করে। ডিস্ক ব্রেকেরও তুলনায় খরচও কম। একে একে দেখে নেওয়া যাক।
ব্রেকিং পাওয়ার – ড্রাম ব্রেকের ব্রেকিং পাওয়ার কম। ধীরে কাজ করে। তবে যারা স্বাভাবিক স্পিডে বাইক চালান বা দৈনন্দিন রাইডিংয়ের জন্য যথেষ্ট।
কন্ট্রোল – আচমকা ব্রেক কষলে স্কিড করতে পারে। তবে স্বাভাবিক গতিতে ঠিকঠাক কাজ করে।
রক্ষণাবেক্ষণ এবং খরচ – নিয়মিত দেখভালের দরকার নেই। ডিস্ক ব্রেকের তুলনায় সস্তা।
পারফরম্যান্স – ভেজা বা পিচ্ছিল রাস্তায় ড্রাম ব্রেক খুব একটা কাজ করে না। তাছাড়া এতে পানি বা ময়লা জমতে পারে, যা ব্রেকিং পাওয়ার কমিয়ে দেয়।
পরিশেষে: যারা শহুরে রাস্তায় গাড়ি চালান, সাধারণ ও বাজেট ফ্রেন্ডলি অপশন খুঁজছেন, তাহলে ড্রাক ব্রেক যথেষ্ট। আর যারা লম্বা দূরত্ব বা হাইওয়েতে গাড়ি চালান, তাদের ডিস্ক ব্রেকই ভালো। ১২৫ সিসি বাইকের সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনে ড্রাম ব্রেক সম্বলিত বাইক কেনার পরামর্শ দেন টু হুইলার বিশেষজ্ঞরা। এতে ব্রেকিং পাওয়ার এবং সুরক্ষা দুটোই পাওয়া যায়, পাশাপাশি বাজেটের মধ্যেই থাকে।